• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রংপুর আবহাওয়া অফিসের রাডার সচল করার আভাস

প্রকাশিত: ১ সেপ্টেম্বর ২০২২  

রংপুর আবহাওয়া অফিসের রাডার সচল করার আভাস                     
রংপুর আবহাওয়া অফিসের তথ্যের সক্ষমতা আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। অফিসের রাডারটি প্রায় ১০ বছর যাবত অকেজো থাকার পর অবশেষে চলতি বছরেই জাপানের অনুদানে নতুনভাবে চালু হওয়ার কথা থাকলেও এখনো হয়নি। করোনার কারণে গত বছর অক্টোবর থেকে ভবন নির্মাণ ও অফিস ইনডোরের কাজ চলছে ধীর গতিতে। 

এদিকে, আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশে দুটি রাডার নির্মাণ করছে জাপানিরা। এখন তাদের নির্মাণকাজ চলছে গাজীপুরে। এ কাজ শেষ হলে রংপুরে কাজ শুরু করবে। ২০০ কোটি টাকার কুড়ি তলা ভবন নির্মাণের পর বসানো হবে রাডার। জাপানের তৈরি রাডারটি দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণপূর্বক দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কালবৈশাখীর আগাম তথ্য দেবে, ৫০০ কিলোমিটার দূরের মেঘ পর্যবেক্ষণ করতে পারবে, ২৪ ঘণ্টা পূর্বে কালবৈশাখী ঝড়ের তথ্য দিতে পারবে। এটি চালু হলে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ ভূ-কম্পনের আগাম সংকেত পেতে আর বিলম্ব হবে না। 

রংপুর আবহাওয়া অফিসের প্রকৌশলী ও সহকারী আবহাওয়াবিদ এ কে এম কারুল হাসান বলেন, রংপুর নগরীর আলমনগর এলাকায় ১৯৭৭-৭৮ অর্থবছরে ২ দশমিক ৫০ একর জায়গা অধিগ্রহণ করে নিজস্ব ভবনে স্থাপন করা হয় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের অধীন আবহাওয়া, রাডার ও ভূ-কম্পন পর্যবেক্ষণাগার। প্রতিদিনের আবহাওয়া, ভূমিকম্প পরিমাপসহ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য ঢাকা প্রধান অফিসকে সহায়তার উদ্দেশ্যে এর যাত্রা শুরু হয়। 

এই কর্মকর্তা বলেন, ১৯৯৯ সালে জাপান সরকারের অর্থায়নে এবং তাদের কারিগরি সহায়তায় প্রায় শত কোটি টাকা ব্যয়ে রাডারটি স্থাপন করা হয়। নয় বছর মেয়াদের রাডারটি ২০০৯ সাল পর্যন্ত চালু থাকার পর ত্রুটি দেখা দেয়। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আবহাওয়ায় উৎপত্তি হয় কালবৈশাখীর। এই ঝড়ের আগাম তথ্য দিবে রংপুর আবহাওয়া অফিসের রাডারটি। রাডারটি প্রায় ১০ বছর যাবত অকেজো হওয়ায় বর্তমানে এলাকাবাসীকে ঢাকা আবহাওয়া অফিসের বিলম্ব তথ্যের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। 

সহকারী আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘রাডার কেন্দ্রটি চালু হলে উন্নয়নের একটি নতুন মাত্রা যুক্ত হবে রংপুর বিভাগে। এতে বৃষ্টি পাতের আগাম ধারণা পাওয়া যাবে, তাপ মাত্রাসহ আরও অনেক আগাম তথ্য। জলীয়বাষ্প নিরুপনের পুরাতন ও আধুনিক যন্ত্র দিয়ে চলছে এখন রংপুর আবহাওয়া অফিসের কার্যক্রম। বর্তমানে আবহাওয়া অফিসে টেম্পারেচার, বায়ুর চাপ ও ভূকম্পন জানানোর মেশিন সচল রয়েছে। বর্তমানে আমরা উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সরাসরি ঢাকায় প্রতি ৩ ঘণ্টায় বিভিন্ন ম্যাসেজ ও ছবি সরবরাহ করছি।’   

কৃষিবিদ ও অতিরিক্ত পরিচালক ওবাইদুর রহমান মন্ডল বলেন, ‘রংপুর অঞ্চল কৃষিপ্রধান। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দিনে দিনে কৃষি কাজ কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠছে। এ অবস্থায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম বার্তা জানতে না পারায় কৃষকদের জন্য তা আরও কঠিন হয়ে পড়ছে। কৃষকরা আবহাওয়ার পূর্ব প্রস্তুতি নিতে পারছে না। তবে আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে কৃষকদের পরামর্শ প্রদানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –