সবুজের চাদরে ঢাকা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০২৩
ছায়া সুনিবিড় সবুজের মায়ায় জড়ানো উত্তরের উচ্চশিক্ষার বাতিঘর রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)। পাখির কিচিরমিচির শব্দ, প্রাণজুড়ানো দক্ষিণা বাতাস আর প্রকৃতির কোমল মায়ার চাদরে জড়িয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ক্যাম্পাসের ভেতরে পথ চলতে চলতে মনে হয় এ যেন বৃক্ষের জাদুঘর। ৭৫ একরের ক্যাম্পাসজুড়ে রয়েছে আড়াইশর বেশি প্রজাতির প্রায় ৩৬ হাজার গাছ।
ক্যাম্পাসের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি জারুলগাছ। মূল ফটক পেরিয়ে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে রাস্তার দুই ধারে সারি সারি কৃষ্ণচূড়া। সবুজ পাতার কৃষ্ণচূড়ার ডালে যখন লাল ফুল ফোটে, দেখে মনে হয় যেন জাতীয় পতাকা সবুজের মাঝে লাল রং নিয়ে উড়ছে। সবুজ পাতার ভেতর থেকে রক্তরাঙা কৃষ্ণচূড়া সবাইকে ক্যাম্পাসে স্বাগত জানায়।
ক্যাম্পাসের প্রথম গেট দিয়ে প্রবেশ করলেই দেখা মিলবে দেবদারু সুশোভিত সড়ক। ক্যাম্পাসের সুন্দরতম বিজয় সড়ক, যা কৃষ্ণচূড়া ও দেবদারু সড়কে সংযোগ করে থাকে। বিকেলে বিজয় সড়ক যেন সৌন্দর্যপিপাসু মানুষের ছবি তোলার হটস্পট হয়ে ওঠে। এ ছাড়া ক্যাম্পাসের তৃতীয় ও চতুর্থ গেট পেরিয়ে দেখা যাবে বকুল ও শিউলি ফুলের সমারোহ। প্রতিদিন সকালে ফুল কুড়াতে আসেন অনেকেই। সন্ধ্যা হলে শিউলি ফুলের সুবাস ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। আর গ্রীষ্মকালে সোনালু ফুলের ঝলকে মেতে ওঠে ক্যাম্পাস।
প্রতিটি একাডেমিক ভবন সবুজে ঘেরা। যেন ছায়াঘেরা এক সবুজ উদ্যান। চারদিকে সব বিচিত্র গাছের সমাহার। সবুজের ছায়ায় এক ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে আরেকটি দেখা যায় না। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্যাম্পাসের অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে ছুটে আসেন দর্শনার্থীরা।
ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রশাসনিক ভবন, ক্যাফেটেরিয়া, লাইব্রেরি, মসজিদ, হল, ডরমিটরি, স্বাধীনতা স্মারক, শহীদ মিনার, খেলার মাঠসহ যে কোনো জায়গায় দাঁড়ালেই মনে হয় যেন মুহূর্তেই সবুজের নির্মল অনুভূতি ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। ক্যাম্পাসে ফল ও সৌন্দর্যবর্ধক গাছের মধ্যে রয়েছে শাল, দেবদারু, পলাশ, কাউফল, আঁশফল, সফেদা, আলুবোখারা, আমলকী, বট, পাকুড়, হরীতকী, বহেড়া, অর্জুন, কাইজেলিয়া, রাবার, সোনালু, বিলাতি গাব, নিম, বুদ্ধ নারিকেল, কাঠবাদাম ইত্যাদি। ফুলগাছের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নীলমণি লতা, ঝুমকো লতা, লাল কাঞ্চন, শ্বেত কাঞ্চন, কাঠগোলাপ, চেরি, জবা, রজনীগন্ধা ও মাধবীলতা।
দুর্লভ গাছের মধ্যে রয়েছে গ্লিরিসিডিয়া, জয়তুন, পারুল, হৈমন্তী, জয়ত্রী, ঢাকি, জাম, তেলসুর, পুত্রঞ্জীব, কানাইডিঙা, হলদু, দইবোটা, পুমুর, মহুয়া, পানিয়াল, পেস্তাবাদাম, কাজুবাদাম, চিকরাশি ও নাগেশ্বর।
বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও নানা জটিলতায় স্থায়ী ক্যাম্পাস পেতে তিন বছর লেগে যায়। ৮ জানুয়ারি ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাস উদ্বোধন করেন। প্রতিষ্ঠাকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে অন্য প্রান্ত দেখা যেত। সময়ের পরিক্রমায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সুধীজনের সহযোগিতায় ক্যাম্পাস গাছপালা দিয়ে সাজানোর ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করেছেন প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক ড. তুহিন ওয়াদুদ।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের যে নৈসর্গিক সৌন্দর্য ও সবুজ আবহাওয়া, তা একই সময়ে প্রতিষ্ঠিত দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় অনেক বেশি। প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে অনেক মানুষ এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন। এখন শুধু ছায়া সুনিবিড় ক্যাম্পাস নয়, বৃক্ষের বৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ আমাদের ক্যাম্পাস।
– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –- রংপুরে র্যাবের অভিযানে ফেন্সিডিলসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির দাবি বেরোবি ছাত্রলীগের
- রাফাহতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২১ ফিলিস্তিনি নিহত
- দ্রব্যমূল্য নিয়ে চাপের মধ্যে আছি: ওবায়দুল কাদের
- প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস: শিক্ষামন্ত্রী
- জনগণের কথা চিন্তা করে আইন তৈরি করতে হবে: আইনমন্ত্রী
- তৃণমূল মানুষের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার
- হাওরের ৯৭ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ
- ৩০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার আবাসন সুবিধা পাবে
- চাকরিতে প্রবেশে বয়সের বিষয়ে যা জানালেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
- ‘অভিবাসন নিয়ে অপতথ্য রোধে কাজ করবে বাংলাদেশ-ইতালি’
- ঢাকায় আসছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রসচিব
- অবৈধ জাল ব্যবহার বন্ধ করা হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
- ১৪ দিনে হিটস্ট্রোকে ১৫ মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদফতর
- উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে তীব্র ঝড়
- ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করেছে’
- হিলিতে ভুর্তুকি মূল্যে কৃষক পেল হারভেস্টার মেশিন
- হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
- দিনাজপুরে নাশকতা মামলায় ছাত্রদল ও যুবদলের দুই নেতা কারাগারে
- ধূমপান বা তামাক স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর
- সত্যি কী আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা পাচ্ছেন শাকিব খান?
- হজের জন্য মাহরাম না পেলে নারীদের করণীয় কী?
- রাশিয়ার সাথে সম্ভাব্য সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে ন্যাটো: মস্কো
- অপসাংবাদিকতা মূল সাংবাদিকতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- ট্রেন সুবিধায় আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল দক্ষিণবঙ্গ: রেলমন্ত্রী
- ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে আমরা পাপমুক্ত হয়েছি’
- ‘মৎস্যসম্পদ রক্ষার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে হবে’
- উপজেলা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে যে নির্দেশনা দিল ইসি
- টেনিস খেলাকে জনপ্রিয় করতে কাজ করা হচ্ছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- ট্রেন সার্ভিসের মাধ্যমে রাজধানীর চাপ কমে আসবে: চিফ হুইপ
- সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী
- দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে শিক্ষক-কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট
- ৬ শতাধিক পটল গাছ উপড়ে ফেলল দুর্বৃত্তরা, দিশেহারা কৃষক
- রাণীশংকৈলে ভুট্টাক্ষেত থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- বীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- বীরগঞ্জে হবিবর রহমান স্মৃতি রোগ প্রতিরোধ গবেষণা কেন্দ্র উদ্বোধন
- ইস্তিসকার নামাজের সময় ও বিধি-বিধান
- ঈদের দিন বন্ধ থাকবে আন্তঃনগর ট্রেন
- গোর-এ-শহীদ ময়দানে ৬ লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়
- টানা ৬ দিন বন্ধের পর হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি শুরু
- দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের ৫০০ বৃক্ষের চারা বিতরণ-রোপণ
- হজের জন্য মাহরাম না পেলে নারীদের করণীয় কী?
- জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান
- দিনাজপুরে হলিল্যান্ড কলেজে ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
- রাইমা সেন কেনো হুমকি!
- দিনাজপুরে অনাবৃষ্টি আর দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে লিচুর মুকুল
- দাঁতের যন্ত্রণায় আইসক্রিম খেতে পারছেন না?
- ঘোড়াঘাটে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালিত
- রূপপুরে নতুন বিদ্যুৎ লাইন চালু মঙ্গলবার
- দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, পথেই ঝরল ২ প্রাণ