• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ মোকাবিলায় তরুণদের সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান

প্রকাশিত: ২ নভেম্বর ২০২২  

করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী আসন্ন বৈশ্বিক দুর্ভিক্ষ ও খাদ্য সংকট মোকাবিলায় খাদ্য উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে তরুণদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থাও বলছে, বিশ্বে আগামীতে খাদ্যাভাব ও দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে। সে অবস্থায় বাংলাদেশকে এর থেকে মুক্ত রাখতে হলে আমাদের প্রতি ইঞ্চি জমি যেমন আবাদ করতে হবে, তেমনি খাদ্য পণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। সেক্ষেত্রে আমি যুব সমাজকে আহ্বান করবো, যেন তারা এ উদ্যোগ নেন।

মঙ্গলবার সকালে ‘জাতীয় যুব দিবস-২০২২’ উদ্বোধন এবং ‘জাতীয় যুব পুরস্কার-২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যার যার এলাকাভিত্তিক কাজ করতে পারেন, কেননা খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাত করতে পারলে আমরা যেমন নিজেদের চাহিদা মেটাতে পারবো, তেমনি অনেক দুর্ভিক্ষ পীড়িত দেশকে সহায়তা করতে পারবো। আমাদের মাটি উর্বর, আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে- আমাদের জনশক্তি, সেই জনশক্তিকেই আমাদের কাজে লাগাতে হবে।

যুবকদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির দিকেই তার সরকারের দৃষ্টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের মাঝে নেতৃত্বের যে গুণাবলী ও প্রতিভা আছে তা যেন বিকশিত হয় এবং তাদের কর্মক্ষতা যেন দেশের কাজে লাগে সেজন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার সরকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রতি জেলা-উপজেলায় যুব কাউন্সিল গঠন করা হচেছ। এর মাধ্যমে তারা যেন কাজ করতে পারে এবং দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে সেই উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। কারণ একটি প্রশিক্ষিত যুবশ্রেণি গড়ে তোলা একান্তভাবে অপরিহার্য। তবে আমাদের দেশে এখন কত প্রশিক্ষিত যুব শ্রেণি রয়েছে, তার একটি ডাটাবেজ তৈরির প্রক্রিয়া চলছে।

তিনি বলেন, এটা হলে বোঝা যাবে কারা কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে এবং কারা এর বাইরে রয়েছে। তাদেরকেও তার সরকার কর্মসংস্থানের আওতায় আনতে প্রচেষ্টা গ্রহণ করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে অরো বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি যুব সমাজ। আর আজকে পৃথিবীর অনেক দেশই বয়োবৃদ্ধের দেশ হয়ে গেছে। এখনো বাংলাদেশের একটা বিরাট কর্মক্ষম যুব সমাজ রয়ে গেছে, যেটা আমাদের কাজে লাগাতে হবে।

তিনি বলেন, যুব সমাজের এই শক্তিকেই কাজে লাগাতেই তার সরকার ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে শ্লোগান রাখে ‘তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার যুবসমাজকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির হালনাগাদ জ্ঞান দিয়ে গড়ে তুলতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে, যাতে তারা পরিবর্তনশীল বিশ্বে প্রতিযোগিতার যোগ্য এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে সক্ষম হয়।

তিনি ৬৪টি জেলায় ৬৪ হাজার যুবক-যুবতীকে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপনে ঋণ দেওয়ার জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –