• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

হজের ক্ষেত্রে শয়তান যেসব ওয়াসওয়াসা দেয়

প্রকাশিত: ৪ মে ২০২৪  

হজ ইসলামের ফরজ বিধানগুলোর অন্যতম একটি। কারো কাছে নিজের দেশ বা ভূমি থেকে মক্কায় গিয়ে— আবার ফিরে আসা পরিমাণ সম্পদ ও সামর্থ্য থাকলে হজ ফরজ হয়।

আর্থিক সক্ষমতার পাশাপাশি হজের জন্য আরো ৫টি শর্ত থাকতে হবে। তাহলো—(এক) মুসলমান হওয়া। (দুই) জ্ঞানসম্পন্ন হওয়া। (তিন) প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া। (চার) স্বাধীন হওয়া। (পাঁচ) সামর্থ্য থাকা।

উক্ত শর্তগুলোর মাধ্যমে কারো ওপর হজ ফরজ হলে তার জন্য যত দ্রুত সম্ভব হজ মৌসুমে হজ পালন করে নেওয়া

বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ব্যাপারে বিশেষ তাগিদ দিয়ে বলেছেন, مَنْ أَرَادَ الْحَجَّ فَلْيَتَعَجَّلْ فَإِنَّهُ قَدْ يَمْرَضُ الْمَرِيضُ وَتَضِلُّ الضَّالَّةُ وَتَعْرِضُ الْحَاجَةُ

অর্থ: ‘যে ব্যক্তি হজের সংকল্প করে সে যেন অবিলম্বে তা আদায় করে। কারণ মানুষ কখনও অসুস্থ হয়ে যায়, কখনও প্রয়োজনীয় জিনিস বিলুপ্ত হয়ে যায় এবং কখনও অপরিহার্য প্রয়োজন সামনে এসে যায়’। (সুনানে ইবনে মাজা: ২৮৮৩)

অনেকেই হজ ফরজ হওয়ার পরও দেরি করতে থাকেন। মনে শয়তানের এ রকম ওয়াসওয়াসা আসে যে হজের জন্য যে অর্থ ব্যয় করবো তা দিয়ে যদি আরো কিছুদিন ব্যবসা-বাণিজ্য করি, তাতে অনেক লাভ হবে। হজ করলে অনেকগুলো টাকা ব্যয় হয়ে যাবে।

হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, হজ মানুষকে দরিদ্র্য বানায় না বরং দারিদ্র দূর করে। হজ যেমন গুনাহ দূর করে, দারিদ্র্যও দূর করে। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন, تَابِعُوا بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ فَإِنَّهُمَا يَنْفِيَانِ الْفَقْرَ وَالذُّنُوبَ كَمَا يَنْفِي الْكِيرُ خَبَثَ الْحَدِيدِ وَالذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ وَلَيْسَ لِلْحَجَّةِ الْمَبْرُورَةِ ثَوَابٌ إِلَّا الْجَنَّةَ 

অর্থ: ‘ধারাবাহিকভাবে হজ ও ওমরার করতে থাক। কারণ এ ২টি দারিদ্র্য ও গুনাহ এমনভাবে দূর করে, যেমনভাবে হাঁপর লোহা ও সোনা-রুপার ময়লা দূর করে। মাবরুর হজের (সব রকম গুনাহ ও অশ্লীলতা থেকে পবিত্র) সওয়াব জান্নাত ব্যতীত আর কিছু নয়’। (সুনানে নাসাঈ: ২৬৩১, সুনানে তিরমিজি: ৮১০)

উক্ত হাদিস থেকে বোঝা যাচ্ছে, হজ-ওমরাহ করলে সম্পদ কমার বদলে বরং বেড়ে যায়। অভাব আসার বদলে অভাব মোচন হয়। হজ করলে সম্পদ কমে যাবে বা দরিদ্র্য আসবে এটা শয়তানের ধোঁকা বা ওয়াসওয়সা।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –