• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

হাবিপ্রবিতে ‘ঠুনকো বিষয়’ নিয়ে হামলা-ভাঙচুর, আহত ১৩ শিক্ষার্থী

প্রকাশিত: ২ জুলাই ২০২২  

দিনাজপুরে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর দ্বন্দ্বের জের ধরে দুই আবাসিক হলের ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন ১৩ জন ছাত্র। 

শুক্রবার সন্ধ্যায় দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত ছাত্ররা চিকিৎসা গ্রহণ শেষে বাড়িতে ফিরে গেছেন। 

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, তাজউদ্দিন আহমদ হল ও ডরমেটরী-২ হলের শিক্ষার্থীদের মাঝে দফায় দফায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ভাঙচুর ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন ১৩ শিক্ষার্থী। 

দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের রেজিস্ট্রার অনুযায়ী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বিবিএ ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম, ১৮তম ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মোরশেদ এবং ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আনজারুল ইসলাম। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চলে গেছেন।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আনজারুল ইসলামকে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় শহীদ মিনার সংলগ্ন এলাকায় শেখ রাসেল হলের ৮-১০ জন শিক্ষার্থী মারধর করেন। একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে অন্য কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আহত আনজারুল ইসলাম ডরমেটরী-২ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তার ওপর হামলার কথা হলে পৌঁছালে পরে ডরমেটরী-২ হলের শিক্ষার্থীরা শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হন। এ সময় উভয় হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

অধিকাংশ শিক্ষার্থী হলে ফিরলেও  আচমকা শেখ রাসেল হল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থীরা ডরমেটরি ২ হলের ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। 

পরে রাত ১২টায় ডরমেটরি-২ ও তাজউদ্দিন হলের শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থীদের ওপরে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকেন। ঘটনাস্থলে বঙ্গবন্ধু হলের সিনিয়র একজন উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করেও তিনি ব্যর্থ হন। পরে তালা ভেঙে শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু হলে প্রবেশ করে নিচতলায় রাখা মোটরসাইকেল, বিভিন্ন ছবি, কক্ষের জানালা, টেলিভিশন কক্ষের থাই গ্লাসসহ ব্যাপক ভাঙচুর করেন। একপর্যায়ে রাত ৩টায় পুলিশের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর প্রফেসর মামুনুর রশিদ বলেন, শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে ঠুনকো বিষয় নিয়ে মারপিটের ঘটনা ঘটিয়েছে। উত্তেজিত হয়ে শিক্ষার্থীরা হলের দরজা জানালা ভাঙচুর করেছে। ১৩ জন আহত হয়েছেন। তবে তিনজনের আঘাত একটু বেশি। অন্যরা সুস্থ আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ শান্ত আছে।

তিনি আরো জানান, বেশ কিছুদিন আগে আহত আনজারুল শেখ রাসেল হলের একজনকে আঘাত করেছিলো। তারই সূত্র ধরে শেখ রাসেল হলের কয়েকজন আনজারুলের ওপর চড়াও হয়েছেন। 

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –