• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

১০ বছরেও নির্মাণকাজ শেষ হয়নি বেরোবির মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্যের

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২২  

১০ বছরেও নির্মাণকাজ শেষ হয়নি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ভাস্কর্য স্বাধীনতা স্মারকের। একে একে তিন ভিসি পরিবর্তন হয়েছে। তবে ঝুলে আছে নির্মাণকাজ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, সব জটিলতা সমাধান করে দ্রুত স্বাধীনতা স্মারকের নির্মাণকাজ শেষ করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ভিসি অধ্যাপক ড. মু. আব্দুল জলিল মিয়ার আমলে জনতা ব্যাংকের অনুদানে স্বাধীনতা স্মারকের নির্মাণকাজ শুরু হয়। পরের বছর ২০১৩ সালের ২৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ভিসি অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী ভাস্কর্যটির মূল ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। কিন্তু কিছু দিন পর নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর চতুর্থ ভিসি অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ পুনরায় এর নির্মাণ কাজ শুরু করলেও আবারো তা বন্ধ হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম ও বর্তমান ভিসি অধ্যাপক ড. হসিবুর রশীদ এখনো নির্মাণকাজ শুরু করেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শফিক আশরাফ বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এখনো স্বাধীনতা স্মারক নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। এটি অনেক আগেই নির্মাণ করার দরকার ছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করলে প্রথমেই চোখে পড়ে কঙ্কালের মতো দাঁড়িয়ে আছে স্বাধীনতা স্মারক। এটির গায়ে অযত্নে কালসিটে দাগও পড়েছে। যদি পূর্ণাঙ্গভাবে নির্মাণ করা হতো তাহলে এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বাড়ত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, স্বাধীনতা স্মারক আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য। এটি সঠিকভাবে নির্মিত হলে মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা ও শিক্ষার ধারণা দিত। এটি চোখে পড়লেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের কথা মনে হতো। আমরা সে জায়গা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আলমগীর হোসেন বলেন, নির্মাণ শুরুর দীর্ঘ সময়েও মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য নির্মাণ সম্পন্ন করতে না পারাটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতার প্রকাশ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী কমলেশ চন্দ্র সরকার বলেন, স্বাধীনতা স্মারক নির্মাণ কাজ শুরুর পর নানান জটিলতায় নির্মাণ কাজ বার বার বন্ধ হয়ে যায়। আমরা আশা করছি সব জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –