নতুন বছরে নতুন সুখবর: রফতানি হবে বিদ্যুত
প্রকাশিত: ৪ জানুয়ারি ২০২১
নতুন বছরের জন্য নতুন সুখবর! বাংলাদেশ এখন প্রতিবেশীদের কাছে বিদ্যুত রফতানি করতে চায়। ভারতের একাংশ ছাড়াও নেপাল ও ভুটানে বিদ্যুত রফতানির চিন্তা করছে সরকার। ইতোমধ্যে ভারত এবং নেপালের কাছে বিদ্যুত বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে সরকার। ভুটানের কাছেও বিদ্যুত রফতানির প্রস্তাব দেয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। প্রতিবেশীরা প্রস্তাবে সাড়া দিলেই রফতানির উদ্যোগ চূড়ান্ত করা হবে।
বিদ্যুত বিভাগ সূত্র জানায়, গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা কিছুটা বাড়লেও শীতে একেবারে কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে শীতের সময় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিম, অসম, অরুণাচল, মনিপুরে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। শীতে এই অঞ্চলে বিদ্যুত সরবরাহের জন্য নির্মিত জলবিদ্যুত কেন্দ্রগুলোতে পানির প্রবাহ কমে যায়। অন্যদিকে এসব অঞ্চলে প্রচণ্ড শীতের কারণে হিটিংয়ের (উষ্ণায়ন) জন্য বাড়তি বিদ্যুতের চাহিদা সৃষ্টি হয়। একই অবস্থা নেপাল এবং ভুটানের ক্ষেত্রেও। ফলে এসব এলাকায় শীতে বিদ্যুতের যে সঙ্কট তৈরি হয় তা বাংলাদেশ থেকে পূরণ সম্ভব।
মাত্র এক যুগে দেশের বিদ্যুত উৎপাদন খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এখন গ্রীষ্মেই চাহিদার প্রায় দ্বিগুণ বিদ্যুত উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে। সরকারের দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। উৎপাদন শুরু করেছে পায়রা এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুত কেন্দ্র। আগামী তিন বছরের মধ্যে মাতারবাড়ি, রূপপুর এবং রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র উৎপাদনে আসছে। এতে করে দেশের বিদ্যুত উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় পাঁচ হাজার মেগাওয়াট বাড়বে।
জানতে চাইলে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, আমরা বাংলাদেশ-ভারত সচিব পর্যায়ের যে স্টিয়ারিং কমিটি রয়েছে সেখানে বিদ্যুত রফতানির প্রস্তাব দিয়েছি। কিন্তু কোভিডের কারণে বিষয়টি আর অগ্রসর হয়নি। একইভাবে নেপালের সঙ্গে বিদ্যুত খাতে সহায়তা সম্প্রসারণের সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করার সময় তুলে ধরেছি। কিভাবে আমাদের বিদ্যুতে শীতের সময় তাদের চাহিদা পূরণ সম্ভব। তবে ভুটানের সঙ্গে এখনও এ বিষয়ে তেমন আলোচনা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।
দেশে গ্রিড সংযুক্ত বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ২০ হাজার ৫৯৫ মেগাওয়াট। এখন দিনেরবেলায় সর্বোচ্চ বিদ্যুত উৎপাদন হচ্ছে সাত হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। অন্যদিকে সন্ধ্যায় বিদ্যুত উৎপাদন হচ্ছে আট হাজার ৯০০ মেগাওয়াটের মতো। অর্থাৎ দিনেরবেলায় ১৩ হাজার ১৯৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্র বসে থাকছে আর সন্ধ্যায় বসে থাকছে ১১ হাজার ৬৯৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্র। গত গ্রীষ্ম মৌসুমে দেশে বিদ্যুত উৎপাদন হয়েছে সর্বোচ্চ ১৩ হাজার মেগাওয়াটের কাছাকাছি। কিন্তু এর মধ্যে দেশের ৯৯ ভাগের বেশি মানুষের ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে গেছে। এছাড়া দেশে এখন বেজ লোড পাওয়ার প্লান্ট উৎপাদনে আসছে। ফলে আগামী কয়েক বছরে যে হারে বিদ্যুত উৎপাদন হবে সে হারে দেশের চাহিদা বাড়বে না। ফলে বাড়তি বিদ্যুতের ব্যবস্থাপনা এখন পিডিবির বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যানে বিদ্যুতের চাহিদার যে প্রক্ষেপণ দেখানো হয়েছে বাস্তবে সেই হারে চাহিদা বৃদ্ধি না পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিদ্যুত বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, সারাদেশে ১০০ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ জোন নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে সরকার। আমরা মনে করেছিলাম, এসব বিশেষ শিল্পপার্ক প্রতিষ্ঠা হলে বাড়তি বিদ্যুতের চাহিদা সৃষ্টি হবে। দেশের ব্যাপক শিল্পায়নের জন্য বিদ্যুতের সংস্থান আগেভাগেই করতে হয়। কিন্তু এসব প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল নির্ধারিত সময়ে কাজ শুরু করতে না পারায় দেশে শিল্প বিদ্যুতের চাহিদা ওভাবে বাড়েনি। ফলে বিদ্যুত কেন্দ্রগুলোকে অলস বসে থাকতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ এখন দুদিক দিয়ে ভারত থেকে বিদ্যুত আমদানি করে। এর মধ্যে ভেড়ামারা দিয়ে এক হাজার মেগাওয়াট এবং কুমিল্লা দিয়ে আর ১৬০ মেগাওয়াট। এর বাইরে ভেড়ামারা-বহরামপুরে আরেকটি সাবস্টেশন নির্মাণের কথা রয়েছে। এটি নির্মাণ করা হলে ভারত থেকে যেমন এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত আনা সম্ভব হবে সেভাবে এক হাজার মেগাওয়াট ভারতে পাঠানো যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিদ্যুত রফতানি করতে হলে ব্যাক টু ব্যাক সাবস্টেশন নির্মাণ কিংবা আমদানিকারক দেশের নির্দিষ্ট এলাকাকে বাংলাদেশের বিদ্যুত সঞ্চালনের উপযোগী সাবস্টেশনের মতো করে রূপান্তর করা যায়। ভারতে তাদের একাংশ থেকে অন্য অংশে বিদ্যুত নেয়ার জন্য দীর্ঘদিন থেকে সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করতে চাইছে। বাংলাদেশ এ বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। কিন্তু নেপাল এবং ভুটানের সঙ্গে বিদ্যুত বিক্রির দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করার ক্ষেত্রে গ্রিড লাইন নির্মাণ করতে হলে ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহারের প্রয়োজন পড়বে। এর আগে ভারত আঞ্চলিক গ্রিড লাইন নির্মাণের ক্ষেত্রে তাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করলে ভারতীয় কোম্পানির মাধ্যমে তা করতে হবে এমন শর্ত জুড়ে দিয়েছিল। কিন্তু এখন ভারত প্রতিবেশীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে সেই শর্ত শিথিল করেছে। শুধু ভারতীয় অংশ দিয়ে প্রবাহের সময় তাদের হুইলিং চার্জ প্রদান করেই বিদ্যুত রফতানি করা সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত নেপাল এবং বাংলাদেশের কাছে ভারত বিদ্যুত রফতানি করে। এর বাইরে নেপালে ভারতীয় একটি কোম্পানির নির্মাণ করা বিদ্যুত কেন্দ্রের কাছ থেকে বাংলাদেশ ৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুত কেন্দ্রের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে। এছাড়া নেপাল এবং ভুটানের জলবিদ্যুত খাতে বাংলাদেশ এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। জল বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কম হওয়াতে বাংলাদেশ লাভবান হবে বলে মনে করা হয়। আবার একইভাবে শীতের সময় দেশের বিদ্যুত চাহিদা কমে গেলে সেই সঞ্চালন লাইন বিদ্যুত রফতানির জন্য ব্যবহার করা সম্ভব হবে।
পরিসংখ্যান বলছে ২০০৯ সালে দেশে ২৭টি বিদ্যুত কেন্দ্র ছিল। এখন দেশে ১৪০টি বিদ্যুত কেন্দ্র। অর্থাৎ ১১৩টি নতুন বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এখন দেশে গ্রিড সংযুক্ত উৎপাদন ক্ষমতা ২০ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। তবে গ্রিডের বাইরে শিল্প প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব উৎপাদনের জন্য আরও তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্র রয়েছে। সরকার বলছে, ২০০৯ সালে মাত্র ৪৭ ভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুত ছিল। এখন ৯৯ ভাগের বেশি মানুষের ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেয়া হয়েছে। আগামী মার্চ মাসের মধ্যে দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন শেষ করা হবে। দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশই শতভাগ বিদ্যুতায়িত দেশের তালিকায় স্থান করে নিচ্ছে। এ অঞ্চলের সব থেকে বড় দেশ ভারতও এখনও পর্যন্ত এ দাবি করতে পারেনি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদ্যুত বিভাগের বাইরে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে বিদ্যুত রফতানির উদ্যোগ বাস্তবায়নে আলোচনা হওয়া দরকার। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকের মাধ্যমে দেশে বিদ্যুত আমদানির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। শুরুতে ২৫০ মেগাওয়াট আমদানির কথা থাকলেও এখন ভারত থেকে এক হাজার ১৬০ মেগাওয়াট আমদানি করা হচ্ছে। বাংলাদেশ অল্প পরিমাণ বিদ্যুত রফতানির মাধ্যমে একবার শুরু করলে আস্তে আস্তে রফতানির পরিমাণ বৃদ্ধি করা সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে।
– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –- দিনাজপুরে নানা আয়োজনে মে দিবস পালিত
- গরমে পটোল খাওয়ার ৭ উপকারিতা
- শেষ ওভারে মুম্বাইকে হারালো লখনৌ
- শাকিবের বিয়ের ইঙ্গিত দিলেন আরশাদ আদনান
- ইসলামে শ্রমের মর্যাদা, গুরুত্ব ও অধিকার
- শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিতে ঐক্যবদ্ধ ইইউ ও বাংলাদেশ:পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ‘ইভিএমে ত্রুটি প্রমাণ করতে পারলে কমিশনের সবাই পদত্যাগ করবো’
- নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন ১৮৫ দিন: শিক্ষামন্ত্রী
- তাপপ্রবাহ কবে কমবে, জানালো আবহাওয়া অফিস
- জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান
- ইসরাইলগামী জাহাজে হামলার ভিডিও প্রকাশ
- সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড
- নির্বাচনে অনিয়ম হলে কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করা হবে: ইসি
- ‘সব প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে’
- মহান মে দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
- আজ মহান মে দিবস, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন
- হিলিতে রচনা প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ রক্তিম
- বিরামপুর তীব্র গরমে ধস নেমেছে টমেটোর বাজারে
- দিনাজপুরে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১০
- বীরগঞ্জে তীব্র তাপদাহে চরম দুর্ভোগে প্রাণিকূল
- বিরামপুরে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল কিশোরের
- গরমে যেসব উপকার পেতে আনারস খাবেন
- দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহ
- দিল্লিকে সহজেই হারাল কলকাতা
- শাকিবের তৃতীয় বিয়ে নিয়ে যা বললেন অপু বিশ্বাস
- কোরবানির নিয়তের পর পশু বিক্রি করার বিধান
- ঠাকুরগাঁওয়ে হিট স্ট্রোকে নারী শ্রমিকের মৃত্যু
- মিনিটেই নকল ‘স্মার্ট কার্ড’, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশি কর্মীরা
- সারাদেশে হিটস্ট্রোকে ৩ জনের মৃত্যু
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ হোক মানুষের কল্যাণে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী
- দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে শিক্ষক-কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট
- ৬ শতাধিক পটল গাছ উপড়ে ফেলল দুর্বৃত্তরা, দিশেহারা কৃষক
- ঈদে পার্বতীপুর- জয়দেবপুর রুটে চলবে ৩টি বিশেষ ট্রেন
- চুমু খেতে চাওয়া সেই পীরজাদা হারুনকে দলে নিলেন নিপুণ!
- বীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- বীরগঞ্জে হবিবর রহমান স্মৃতি রোগ প্রতিরোধ গবেষণা কেন্দ্র উদ্বোধন
- আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এডিবির আরো সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
- ইস্তিসকার নামাজের সময় ও বিধি-বিধান
- ঈদের দিন বন্ধ থাকবে আন্তঃনগর ট্রেন
- বুয়েটে অপরাজনীতি হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী
- গোর-এ-শহীদ ময়দানে ৬ লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়
- টানা ৬ দিন বন্ধের পর হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি শুরু
- দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের ৫০০ বৃক্ষের চারা বিতরণ-রোপণ
- আইপিএলের মাঝপথে হঠাৎ দেশে ফিরলেন মুস্তাফিজ
- দিনাজপুরে হলিল্যান্ড কলেজে ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
- রাইমা সেন কেনো হুমকি!
- কাল থেকে ১৪ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
- দিনাজপুরে অনাবৃষ্টি আর দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে লিচুর মুকুল
- সংগত কারণ ছাড়া প্রকল্পের ধীরগতি মানা হবে না: রেলমন্ত্রী