রংপুরে দিনদিন বাড়ছে শীতের তীব্রতা
প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০২১
রংপুরে দিনদিন বাড়ছে শীতের তীব্রতা। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে হাড় কাঁপানো শীত। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে নিম্ন আয়ের মানুষরা কাহিল হয়ে পড়ছে। তাই খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুনের উত্তাপ পেতে ঝুঁকছে শীতার্তরা। আর এতে বাড়ছে অগ্নিদগ্ধের ঘটনা। গত এক সপ্তাহে সাত শিশু অগ্নিদগ্ধ হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছে। তাদের বেশীর ভাগের শরীরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। বুধবার (১ ডিসেম্বর) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. আব্দুল হামিদ পলাশ।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, শীতের তীব্রতা বাড়ায় রংপুর অঞ্চলে আগুন পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধের ঘটনা বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে অগ্নিদগ্ধ হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে সাত শিশু। বর্তমানে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১২ জন রোগী। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন সাত শিশুর শরীরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এদের সকলের বয়স ১৫ বছরের নিচে। গত বছর শীত মৌসুমে আগুনের উত্তাপ নিতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন ১৭ জন। চলতি শীত মৌসুমে অগ্নিদগ্ধ হয়ে এখনও কোনো রোগীর মৃত্যু না হলেও শৈত্য প্রবাহ শুরু হলে অগ্নিদগ্ধের সংখ্যা ও মৃত্যু বাড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা। তারা বলেছেন, শীতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু রোধে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।
এ বিষয়ে রমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. আব্দুল হামিদ পলাশ জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১২ জনের মধ্যে সাত জনই শিশু। আগুন পোহাতে গিয়ে অসাবধানতাবশত তারা দগ্ধ হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শীত নিবারণে আগুন পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধের ঘটনা থেকে বাঁচতে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই।
এদিকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির কারণে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে সর্দি-কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রকোপ বেশি। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে গত এক সপ্তাহে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক হাজার ৩শ রোগী ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে বৃদ্ধ ও শিশুর সংখ্যায় বেশি। নগর থেকে একটু দূরে গ্রামে থাকা ছিন্নমূল, অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধদের অবস্থা নাকাল। আগাম শীতের প্রকোপ মোকাবিলায় প্রস্তুতি না থাকায় অনেকেই কষ্টে আছেন। অন্যদিকে শীতের কারণে নগরীর অভিজাত বিপণিবিতান থেকে শুরু করে ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে বাড়ছে শীতার্ত মানুষের ভিড়।
পীরগাছা উপজেলার শিবদেব চরের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জানান, চরাঞ্চলে শীতের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি। কুয়াশার পাশাপাশি হিমেল বাতাশে কাহিল হয়ে পড়েছে অনেকে। শীতবস্ত্রের অভাবে খড় কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা।
রমেক হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এস এম নুরুন্নবী বলেন, রংপুর অঞ্চলে শীতের প্রকোপ বেশী। তাই শীতকালে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে শিশুদের চিকিৎসার পাশাপাশি গরম কাপড় ও উষ্ণতা জরুরী।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ডিসেম্বর থেকে শুরু করে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উত্তরাঞ্চলে কয়েকটি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে রংপুরসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি বাড়বে শীতের তীব্রতা। এছাড়াও মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –- হিলিতে ভুর্তুকি মূল্যে কৃষক পেল হারভেস্টার মেশিন
- হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
- দিনাজপুরে নাশকতা মামলায় ছাত্রদল ও যুবদলের দুই নেতা কারাগারে
- ধূমপান বা তামাক স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর
- সত্যি কী আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা পাচ্ছেন শাকিব খান?
- হজের জন্য মাহরাম না পেলে নারীদের করণীয় কী?
- রাশিয়ার সাথে সম্ভাব্য সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে ন্যাটো: মস্কো
- অপসাংবাদিকতা মূল সাংবাদিকতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- ট্রেন সুবিধায় আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল দক্ষিণবঙ্গ: রেলমন্ত্রী
- ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে আমরা পাপমুক্ত হয়েছি’
- ‘মৎস্যসম্পদ রক্ষার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে হবে’
- উপজেলা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে যে নির্দেশনা দিল ইসি
- টেনিস খেলাকে জনপ্রিয় করতে কাজ করা হচ্ছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- ট্রেন সার্ভিসের মাধ্যমে রাজধানীর চাপ কমে আসবে: চিফ হুইপ
- ‘উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি’
- তীব্র গরমেও শীতল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
- চাই না মুক্তিযুদ্ধ চেতনাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় আসুক
- ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৫ শতাংশ কার্বণ নিঃসরণ কমাতেই হবে
- খুলেছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
- হাবিপ্রবিতে কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন
- ফুলবাড়ীতে শিক্ষার্থীদের শরবত বিতরণ
- হাকিমপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক : শসার মাস্ক
- মুসলিম উম্মাহর একাত্মতা ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে
- বাংলাদেশ-গাম্বিয়া জয়েন্ট বিজনেস টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব
- ডর্টমুন্ডের সঙ্গে এক যুগের সম্পর্ক ছিন্ন করছেন এই ফুটবলার
- ব্যাভিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে পুরস্কার পেলেন ‘অভাগী’ মিথিলা
- হজের ক্ষেত্রে শয়তান যেসব ওয়াসওয়াসা দেয়
- মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলার পরিকল্পনা ভেস্তে দিলো কুয়েত
- যেসব জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ থাকবে
- সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী
- দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে শিক্ষক-কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট
- ৬ শতাধিক পটল গাছ উপড়ে ফেলল দুর্বৃত্তরা, দিশেহারা কৃষক
- রাণীশংকৈলে ভুট্টাক্ষেত থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- বীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- বীরগঞ্জে হবিবর রহমান স্মৃতি রোগ প্রতিরোধ গবেষণা কেন্দ্র উদ্বোধন
- ইস্তিসকার নামাজের সময় ও বিধি-বিধান
- ঈদের দিন বন্ধ থাকবে আন্তঃনগর ট্রেন
- গোর-এ-শহীদ ময়দানে ৬ লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়
- টানা ৬ দিন বন্ধের পর হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি শুরু
- দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের ৫০০ বৃক্ষের চারা বিতরণ-রোপণ
- জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান
- দিনাজপুরে হলিল্যান্ড কলেজে ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
- রাইমা সেন কেনো হুমকি!
- দিনাজপুরে অনাবৃষ্টি আর দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে লিচুর মুকুল
- দাঁতের যন্ত্রণায় আইসক্রিম খেতে পারছেন না?
- ঘোড়াঘাটে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালিত
- রূপপুরে নতুন বিদ্যুৎ লাইন চালু মঙ্গলবার
- দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, পথেই ঝরল ২ প্রাণ
- রংপুরে ইসতিসকার নামাজ আদায়