• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

কোরবানি উপলক্ষে দিনাজপুরে বেড়েছে ‘খাটিয়া’ বিক্রি

প্রকাশিত: ১৯ জুলাই ২০২১  

দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানির পশুর মাংস প্রস্তুতের অন্যতম উপকরণ ‘খাটিয়া’। মাংস ও হাড় কাটতে এর জুড়ি মেলা ভার। দিনাজপুরে যারা কোরবানি দেবেন এবং যারা বিভিন্ন বাড়িতে মজুরিভিত্তিতে মাংস কাটার কাজ করবেন তারা আগেভাগেই কিনে রাখছেন বস্তুটি। তাই বাজারে ‘খাটিয়া’র বেচা-কেনা বেড়েছে বেশ।

খাটিয়া সাধারণত তেঁতুল ও বেল গাছের কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়। এলাকাভেদে এটি ‘খাইট্টা’, ‘কাটলি’, ‘খুটা’, ‘ডুম’ ইত্যাদি নামে পরিচিত। কোরাবানির ঈদকে সামনে রেখে বেড়েছে এর চাহিদা। দিনাজপুর শহরের প্রায় সবখানেই এখন খাটিয়া বিক্রি হচ্ছে।

শহরের ফরিদপুর গোরস্থান মোড়ের খাটিয়া বিক্রেতা আশরাফুল ইসলাম জানান, একটা খাটিয়া অনেক দিন চলে। সব সময় এটি বিক্রি হয় না। সাধারণত স্থানীয় কসাইরাই এর মূল ক্রেতা। কিন্তু প্রতি বছর কোরবানির ঈদে চাহিদা বাড়ে। কাঠভেদে খাটিয়ার দামের ভিন্নতা রয়েছে। তেঁতুল, বেল ও বাবলা কাঠের খাটিয়া হয়ে থাকে। তবে দিনাজপুরে তেঁতুল ও বেল গাছের খাটিয়াই বেশি পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, ‘কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে আমরা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তেঁতুল ও বেলগাছ কিনে করাত দিয়ে কেটে খাটিয়া তৈরি করি। দিনাজপুরের বাজারে ২০ টাকা কেজি হিসাবে খাটিয়া বিক্রি হচ্ছে। আকার-আকৃতি অনুযায়ী একেকটি খাটিয়ার ওজন ৫ থেকে ২০ কেজি পর্যন্ত হয়।’

এখন তিনি ২০০-টিরও বেশি খাটিয়া বিক্রি করেছেন আশরাফুল।

রেল বাজারের খাটিয়া বিক্রেতা হবিবর রহমান বলেন, ‘এটা সিজনাল ব্যবসা। স’মিল থেকে তেঁতুল ও বেল গাছের কাঠ দিয়ে খাটিয়া তৈরি করে রাখা হয়। বছররে অন্য সময় দুই একটা বিক্রি হলেও বছরের এই সময় বিক্রি বেশি হয়।’

গত ১০ দিনে দেড়শ খাটিয়া বিক্রি করেছেন তিনি।

খাটিয়া ক্রেতা বিনয় জানান, একবার একটা খাটিয়া কিনলে দুই-তিন বছর চলে যায়। তিন বছর আগে তিনি একটি বেল কাঠের খাটিয়া কিনেছিলেন, এবার ১০ কেজি ওজনের একটি তেঁতুল কাঠের খাটিয়া ২০০ টাকায় কিনেছেন।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –