হাড়-চর্বি ছাড়া, ১০০ ভাগ হালাল মাংস বিক্রি করেন জমিলা কসাই
প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২২
হাড়-চর্বি ছাড়া, ১০০ ভাগ হালাল মাংস বিক্রি করেন জমিলা কসাই
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ঝাড়বাড়ি হাটের জমিলা বেগম ওরফে জমিলা কসাই। পুরুষের সঙ্গে সমানতালে লড়াই করে হয়েছেন সফল ব্যবসায়ী। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন কসাই হিসেবে। কঠিন জীবনযুদ্ধে সব বাধাকে পেছনে ফেলেছেন জমিলা কসাই। পেয়েছেন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সম্মাননা ও পুরস্কার।
মায়ের দোয়া মাংস ভান্ডার- জমিলা বেগমের মাংস বিক্রির দোকান। এ দোকানে মিলবে ১০০ ভাগ হালাল মাংস। সঠিক পরিমাপে হাড়-চর্বি বাদে মাংস বিক্রি করা হয়। বিয়ে বাড়ি, খৎনাসহ আশপাশের গ্রাম-শহরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জমিলার দোকানের মাংস বেশ জনপ্রিয়। দোকানটির বিশেষ গুণ হলো- এখানে ক্রেতার পছন্দ মতো মাংস দেওয়া হয়।
দুই দশকের টানা অভিজ্ঞতায় জমিলা বেগম ক্রেতাদের কাছে হয়ে উঠেছেন বিশ্বস্ত। এলাকায় তিনি ‘জমিলা কসাই’ নামেই পরিচিত।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বীরগঞ্জ উপজেলার ঝাড়বাড়ী হাটে মায়ের দোয়া মাংস ভান্ডারে খুব সকাল থেকে শুরু হয়েছে কর্মব্যস্ততা। কেউ দোকান গোছগাছ করছেন আবার কেউ গরু জবাই করে চামড়া আলাদা করছেন। জমিলা বেগম নিজেও গরুর চামড়া আলাদা করছিলেন। কিছুক্ষণ পর দোকানে বসে মাংস কাটতে শুরু করলেন।
এদিকে মাংস আসার আগেই দোকানের বাইরে ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পরার মতো। জমিলা বেগম নিজে মাংস কাটছেন, ডিজিটাল পাল্লায় মাপছেন, আবার টাকা গুনছেন। চাহিদা অনুযায়ী ক্রেতাদের কেউ দুই কেজি, কেউ পাঁচ কেজি আবার কেউ ২৫ কেজি পর্যন্ত মাংস কিনছেন। তার হাত যেন আরেক ডিজিটাল পাল্লা। ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী যা পাল্লায় তুলছেন তা একেবারে সমপরিমাণ হয়ে যাচ্ছে।
সোমবার বাদে সপ্তাহের ছয়দিনই মাংস বিক্রি করেন জমিলা বেগম। তবে শুক্রবার মাংস বিক্রি বেশি হয়। অন্যদিন ৭-১০ মণ মাংস বিক্রি হলেও এদিন বিক্রি হয় ২০-২৫ মণ। প্রতিদিন গড়ে ৩-৪টি গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করেন জমিলা। শুধু নিজ এলাকার নয়, ক্রেতারা আসেন দূর-দূরান্ত থেকেও। বিশেষ করে বীরগঞ্জের গোলাপগঞ্জ, গড়েয়া হাট, কাহারোল, বসুনিয়া, লাহিড়ী, কালমেঘ, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ, খানসামা উপজেলা এমনকি ঠাকুরগাঁও ও নীলফামারী শহর থেকেও ক্রেতা আসেন জমিলার দোকানে মাংস কিনতে।
জমিলা কসাইয়ের ছেলে জহুরুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক সমস্যা থাকায় ছোটবেলা থেকে ব্যবসায় মায়ের পাশে দাঁড়ানোর কারণে বেশিদূর পড়ালেখা করা সম্ভব হয়নি। তবে মাকে নিয়ে অনেক গর্ব হয়। মা বিভিন্ন সময় সরকারি-বেসরকারি সংগঠন থেকে পুরস্কার পায়। ছেলে হিসেবে সেটা আমার জন্য গর্বের। মায়ের কারণে আজ আমি সমাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হতে পেরেছি। ৭-৮ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে আমাদের দোকানে।
জমিলা বেগম বলেন, ১৫ বছর বয়সে বগুড়ার মহাস্থানগড় এলাকার কসাই রফিকুল ইসলাম ভান্ডারীর সঙ্গে বিয়ে হয় আমার। আমার প্রথম সন্তান জহুরুলের জন্মের পর আমার স্বামী মাদকাসক্ত হয়ে ব্যবসা নষ্ট করে ফেলেন। ২০০০ সালের দিকে স্বামীকে নিয়ে বগুড়া থেকে ঝাড়বাড়ী হাটে এসে একটি মাংসের দোকান শুরু করি। সে সময় দোকানে স্বামীকে সময় দিতাম। আস্তে আস্তে পরিবারে সচ্ছলতা ফিরে আসে।
তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন জনের কাছ থেকে প্রায় তিন লাখ টাকা ধার-দেনা করে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান আমার স্বামী। তখন দুশ্চিন্তায় দিন কাটতে থাকে। পাওনাদাররা আমাকে টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন। নিরুপায় হয়ে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বাজারে মাংসের দোকান চালু করলাম। নিজে হাটে গিয়ে দেখে-শুনে গরু বাকিতে কিনতাম। পরদিন মাংস বিক্রি করে গরুর দামের সঙ্গে ৩০০-৫০০ টাকা বেশি দিতাম। এভাবে শুরু করে আস্তে আস্তে ক্রেতাদের কাছে মায়ের দোয়া মাংস ভান্ডার বিশ্বস্ত হয়ে ওঠে। দিনদিন ব্যবসা বাড়তে থাকে।
জমিলা বেগম বলেন, মা-ছেলে মিলে আস্তে আস্তে শোধ করে দেই স্বামীর দেনা। ১১ শতক জমি কিনে বাড়ি বানাই। ছোট পরিসরে একটি গরুর খামারও শুরু করেছি। বাড়ির সামনে একটি মুদি দোকান দিয়েছি। মাংস বিক্রি শেষে সেখানেও সময় দেই। সব মিলিয়ে ছেলে জহুরুল, তার স্ত্রী, দুই নাতি এবং মেয়ে সোহাগীকে নিয়ে আল্লাহর রহমতে সুখেই আছি।
– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –- দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, পথেই ঝরল ২ প্রাণ
- আগুন নেভাতে আসতে ‘দেরি করায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা
- আগুন নেভাতে আসতে ‘দেরি করায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা
- চাঁদা তুলে খেলতে আসা দলই গড়ল ইতিহাস
- মিল্টন সমাদ্দারের অপকর্ম তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি
- জুমার নামাজের ফরজ ও হারাম
- ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু, পরীক্ষার্থী ৩৩৮০০০
- তানজানিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে ১৫৫ জনের মৃত্যু
- ‘পুষ্পা: দ্য রুল’ সিনেমা মুক্তির আগেই ১০০০ কোটির ব্যবসা!
- ২ মে থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা, হতে পারে কালবৈশাখীও
- বীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- ফুলবাড়ীতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়
- গাইবান্ধায় যুব উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ নিয়ে মতবিনিময় সভা
- দিনাজপুরে বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়
- রংপুরে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- দ্বিতীয় সাক্ষাতেও গুজরাটকে হারাল দিল্লি
- খুন হওয়ার ভয়ে বাড়ি ছাড়লেন সালমান খান
- সব রোগ-ব্যাধি থেকে শেফা লাভের সূরা
- জিম্মি এক ইসরায়েলি-আমেরিকানের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
- র্যাবের নতুন মুখপাত্র আরাফাত ইসলাম
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন
- গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ
- মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- সব ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ
- হিট অ্যালার্ট আরো তিনদিন বাড়লো
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৪ মামলায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা
- ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
- সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী
- দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে শিক্ষক-কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট
- দিল্লী হাইকমিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
- ৬ শতাধিক পটল গাছ উপড়ে ফেলল দুর্বৃত্তরা, দিশেহারা কৃষক
- চুমু খেতে চাওয়া সেই পীরজাদা হারুনকে দলে নিলেন নিপুণ!
- ঈদে পার্বতীপুর- জয়দেবপুর রুটে চলবে ৩টি বিশেষ ট্রেন
- বীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এডিবির আরো সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
- ইস্তিসকার নামাজের সময় ও বিধি-বিধান
- ঈদের দিন বন্ধ থাকবে আন্তঃনগর ট্রেন
- রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সহিংসতা বাড়ছে
- বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি
- বুয়েটে অপরাজনীতি হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী
- ‘ডানপন্থী রাজনৈতিক দল নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে না’
- গোর-এ-শহীদ ময়দানে ৬ লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়
- পরীক্ষামূলক জিরা চাষে কৃষকের বাজিমাত
- টানা ৬ দিন বন্ধের পর হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি শুরু
- আইপিএলের মাঝপথে হঠাৎ দেশে ফিরলেন মুস্তাফিজ
- দিনাজপুরে হলিল্যান্ড কলেজে ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
- দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের ৫০০ বৃক্ষের চারা বিতরণ-রোপণ