• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

বিরল রোগে আক্রান্ত চার বছরের শিশু আকাশ

প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২৩  

দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় বিরল এক রোগে আক্রান্ত হয়েছে চার বছরের শিশু আকাশ। জন্মের এক মাসের মধ্যেই তার গায়ে অজ্ঞাত চর্ম রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে বলে জানা গেছে।

বিরলের প্রত্যন্ত অঞ্চল বনগাঁও পূর্বপাড়া বাঁধসংলগ্ন এলাকার আরজিনা-জুয়েল দম্পত্তির দুই ছেলের মধ্যে আকাশ ছোট।

শিশুটির পরিবার জানায়, জন্মের এক মাসের মধ্যেই আকাশের হাত-পা ও গলাসহ গোটা শরীরে অজ্ঞাত চর্মরোগ ছড়িয়ে পরে। যা দেখতে ফাঙ্গাসের মতো। অনেকটা খসখসে ও কালো দাগ গোটা শরীরে দেখা দিয়েছে। বাবা দিনমজুর জুয়েল-আরজিনা দম্পত্তি দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর ধরে সন্তানের অজ্ঞাতনামা চর্মরোগের চিকিৎসা করতে হিমশিম খাচ্ছেন।

দুরারোগ্য বিরল রোগে আক্রান্ত শিশু আকাশের মা আরজিনা বেগম কান্না বিজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার স্বামী দিনমুজুরের কাজ করে কোনভাবে সংসার পরিচালনা করে আসছেন। আমার ২টি ছেলে সন্তানের মধ্যে বড় ছেলের বয়স ৬ বছর। ছোট ছেলে আকাশ জন্মের ১ মাস যেতে না যেতেই শরীরে চর্মরোগের দেখা দিলে প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসকের চিকিৎসা নেই। পর্যায়ক্রমে শীররের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে যেতে থাকলে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা নেই। অর্থের অভাবে উন্নত চিকিৎসা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। এখন এলাকাবাসীর সহায়তায় আকাশকে রংপুরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাবো।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুর ইসলাম বলেন, শিশুটির চিকিৎসার জন্য আমরাও সহযোগিতা করেছি। রংপুরে চিকিৎসককে দেখাতে নিয়ে যাবে এ জন্য আমি টাকাও দিয়েছি।

শিশুটির দাদি রহিমা বেগম বলেন, বাচ্চাটার রোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে। অজানা এ চর্মরোগ থেকে মুক্তি পেতে শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

দিনাজপুর জেলার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম বোরহানুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, বিরল এই রোগটি জেনেটিক স্কীন ডিজিজ (ইকথিওসিস), সূর্যের আলোতে বৃদ্ধি পাবে, এটা নির্মূল হবে না তবে চিকিৎসা দিয়ে কমানো যেতে পারে।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –