• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

খানসামায় পপকর্ন চাষে স্বপ্ন বুনছেন কৃষকরা

প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০২৪  

অনুকূল পরিবেশে দিনাজপুরের খানসামায় লাভজনক হওয়ায় চলতি বছর বেড়েছে পপকর্ন চাষ। এরই মধ্যে এ চাষকে ঘিরে কৃষকরা দেখছেন রঙিন স্বপ্ন। পপকর্ন একটি লাভজনক ফসল এবং পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার। পপকর্নের খই ছাড়াও বিস্কুট ও হরলিক্স তৈরিতে পপকর্ন ব্যবহার করা হয়। পপকর্নের খাবারের চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। এজন্য বাড়ছে এর চাহিদাও। এখন ব্যাপক হারে পপকর্নের চাষ করে জীবনযাত্রার মান পাল্টে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন বিভিন্ন এলাকার প্রান্তিক কৃষক।

অন্য ফসলের চেয়ে তুলনামূলক কম খরচ, উৎপাদন ভালো, লাভজনক, স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য ও সরাসরি পাইকারি বাজার সৃষ্টি হওয়ায় পপকর্ন চাষে ঝুঁকেছেন কৃষকরা। এ ছাড়া নিয়মিত কৃষি বিভাগ থেকে উদ্বুদ্ধকরণ, পরার্মশ প্রদান ও সরকারি সহায়তার ফলে চাষিদের মধ্যে আগ্রহ বেড়েছে।

খানসামা উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি বছর খানসামা উপজেলায় ১৫২০ হেক্টর জমিতে পপকর্ন চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ১৬৬০ হেক্টর অর্জন হয়েছে।

গোয়ালডিহি গ্রামের পপকর্ন চাষি মোস্তফা কামাল ডাবলু শাহ্ জানান, তিনি ২০০২ সাল থেকে পপকর্ন চাষ করেন। অন্যান্য আবাদে লোকসান হলেও পপকর্ন চাষ করে তারা প্রতিবছর লাভবান হন। এজন্য প্রতিবছর পপকর্নের চাষ বাড়ছে। লাভজনক হওয়ায় অনেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে এখন চাষ করছেন। গতবার ও এইবার ২০ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। গতবার ২০ বিঘা জমিতে শুকনা দেড় টন পপকর্ন পেয়েছি। আশা করছি এবার আরও বেশি পাবো।

একই এলাকার আরেক চাষি লতিফ হাজি বলেন, পপকর্ন চাষে লাভবান হয়েছি। গতবারের ন্যায় এবারো ৫ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোপাল রায় বলেন, উপজেলার মধ্যে গোয়ালডিহি ইউনিয়নে ৭০ ভাগ ও বাকি ৫ ইউনিয়নে ৩০ ভাগ পপকর্ন চাষ হয়। পপকর্ন চাষে চাষিদের পাশে থেকে ভালো ফলন পেতে সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হাবিবা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, খানসামা উপজেলায় ভুট্টার পাশাপাশি এ অঞ্চলের কৃষক পপকর্ন চাষে আগ্রহী। পপকর্ন চাষে উদ্বুদ্ধকরণসহ সার্বক্ষণিক কৃষিবিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালে কৃষিবিদ বি আই সিদ্দিক পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করার জন্য আমেরিকা থেকে এ পপকর্ন বীজ নিয়ে এসে সফলতা অর্জন করে। ২০০২ সালে ঢাকায় সিদ্দিকের কাছ থেকে খানসামার গোলাম রব্বানী চাষের জন্য ৪৫ কেজি বীজ নিয়ে এনে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করে। এরপর থেকে খানসামা উপজেলায় প্রতিবছর বৃদ্ধি পায় পপকর্ন চাষ।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –