• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চেরাডাঙ্গী মেলায় বাহারি ঘোড়া

প্রকাশিত: ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

‘নিউ রাজা’, ‘পঙ্খীরাজ’, ‘পাগলা রাজা’, ‘রংবাজ’, ‘পারলে ঠেকাও’, ‘কাজলি’, ‘তাজিয়া’, ‘বিজলী রানী’, ‘বাহাদুর’—এগুলো একেকটি ঘোড়ার নাম। এমন বাহারি নামের ঘোড়া এখন দিনাজপুর সদরের চেরাডাঙ্গী মেলায়। বিক্রির জন্য দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মেলায় এসেছেন ঘোড়া ব্যবসায়ীরা।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মেলার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার। চলবে একমাস।

স্থানীয়রা জানান, ৭৭ বছর আগে শুরু হওয়া এ মেলায় আগে গরু, ছাগল, ঘোড়া, মহিষসহ উট ও দুম্বার ব্যাপক আমদানি হতো। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আমদানি করা হতো এসব প্রাণী। কালের বিবর্তনে ওইসব প্রাণীর পরিবর্তে জায়গা করে নেয় গরু, মহিষ এবং ঘোড়া। তবে ঘোড়ার উপস্থিতি এখনো চোখে ধরার মতো। এসবের পাশাপাশি মেলায় বিনোদনের জন্য রয়েছে যাত্রা, সার্কাস, পুতুল নাচ, আসবাবপত্র, কাঠ, স্টিল ও প্লাস্টিকের ফার্নিচার, মিষ্টান্ন, মসলা, জুতা ও কাপড়সহ আরও কত কী! প্রায় আড়াই কিলোমিটার বর্গাকার এ মেলা ঘিরে এলাকার প্রায় ২০ গ্রামে চলে মেজবান আয়োজনও।

কথা হয় দিনাজপুরের বিরল উপজেলার জুলিমুদি খানা থেকে ঘোড়া নিয়ে আসা গুরুমা নিশির (তৃতীয় লিঙ্গ) সঙ্গে। তিনি জানান, মেলায় আটটি ঘোড়া নিয়ে এসেছেন। এরমধ্যে তিনটি অত্যন্ত দ্রুতগতিসম্পন্ন। একেকটি ঘোড়ার দাম হাঁকছেন দেড় থেকে ছয় লাখ টাকা। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় মাত্র একটি ঘোড়া বিক্রি করতে পেরেছেন তিনি।

নওগাঁ সাপাহার থেকে পাঁচটি ঘোড়া নিয়ে এসেছেন মো. মোস্তাকিম। তার ঘোড়ার নাম ‘নিউ রাজা’। মোস্তাকিম বলেন, তার ঘোড়া রেসের জন্য প্রস্তুত করেছেন। তাই নাম দিয়েছেন ‘নিউ রাজা’। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত দাম না বলায় বিক্রি করেননি।

ধামইরহাট থেকে এসেছেন শামসুল আলম। দ্রুত ছুটতে পারে বলে নাম দিয়েছেন ‘পারলে ঠেকাও’। দাম হাঁকছেন এক লাখ টাকা। তবে ৮০ হাজার টাকা হলে ঘোড়াটি বিক্রি করবেন বলে জানান।

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার হাটখোলা থেকে আসা নজরুল আলম নজু বলেন, গতবছর তার ঘোড়ার নাম দিয়েছিলেন ‘কিরণমালা’। সেটি স্ত্রী ঘোড়া ছিল। এবার পুরুষ ঘোড়া কিনেছেন, যার নাম ‘সাদাবাজ’। এটি তিনি কিনেছেন ৫০ হাজার টাকায়। ন্যায্য দাম পেলে বিক্রি করে দেবে বলে জানালেন।

মেলায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল রায়হান, সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলাম, চেরাডাঙ্গী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, আউলিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী, আউলিয়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকারিয়া জাকির, দিনাজপুর দোকানমালিক সমিতির সভাপতি জহির শাহ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খাদেমুল ইসলাম প্রমুখ।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –