অনাড়ম্বর বিয়ের আভিজাত্য
প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০২১
সায়িদ বিন আল মুসায়্যিব (রহ.)-কে বলা হয় তাবেয়িদের সর্দার। তিনি সরাসরি সাহাবিদের থেকে হাদিস, তাফসির, ফিকহের জ্ঞান অর্জন করেন। তাকওয়া, ইবাদত, দুনিয়াবিমুখতাসহ একজন আলেমের সব বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ছিলেন তিনি। ১৫ হিজরিতে ওমর (রা.)-এর খিলাফতকালে মদিনায় কুরাইশ বংশের মাখজুম গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন মদিনার বিখ্যাত সাতজন ফকিহের অন্যতম। যেকোনো বিষয়ে তার মতামত গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হতো। সায়িদ ইবনুল মুসায়্যিব (রহ.) বলেছেন, “আমি এ পর্যন্ত ৪০ বার হজ করেছি। গত ৫০ বছরে আমার কখনো নামাজের ‘তাকবিরে উলা’ ছুটে যায়নি।”
ইবনে আবি ওয়াদায়াহ (রহ.) বর্ণনা করেন, আমি নিয়মিত সায়িদ বিন মুসায়্যিব (রহ.)-এর মজলিসে বসতাম। কয়েক দিন তাঁর দরসে আমি অনুপস্থিত থাকি। এরপর এলে তিনি বললেন, কোথায় ছিলে? আমি বললাম, আমার স্ত্রী মারা গেছেন। তাই ব্যস্ত ছিলাম। তিনি বললেন, আমাদের জানাতে। তাহলে জানাজায় আমরাও উপস্থিত হতাম। উঠে যাওয়ার সময় তিনি বললেন, আর কাউকে বিয়ে করেছ? আমি বললাম, আল্লাহ আপনাকে রহম করুন, আমাকে কে মেয়ে বিয়ে দেবে? আমার কাছে তো দুই-তিন দিরহাম ছাড়া আর কিছুই নেই। তিনি বললেন, আমি দিলে তুমি কি করবে? আমি বললাম, অবশ্যই করব। অতঃপর তিনি হামদ ও দরুদ পাঠ করে দুই বা তিন দিরহামের বিনিময়ে বিয়ে দিলেন। এদিকে আনন্দে আত্মহারা হয়ে আমি বাড়ি ফিরে যাই। কার কাছ থেকে ঋণ করা যায় তা নিয়ে ভাবতে থাকি। মাগরিবের নামাজ পড়ি। আমি রোজাদার ছিলাম। রুটি ও তেল দিয়ে ইফতার করি। এমন সময় দরজায় টোকা পড়ে। কে জিজ্ঞাসা করতেই উত্তর আসে, সায়িদ। এদিকে আমি সায়িদ ইবনুল মুসায়্যিব ছাড়া পরিচিত সায়িদ নামের সব ব্যক্তির কথা ভাবলাম। কেননা গত ৪০ বছরে বাড়ি ও মসজিদ ছাড়া তাকে আর কোথাও দেখা যায়নি।
অনেক ভেবে দরজা খুলে দেখি, সায়িদ ইবনুল মুসায়্যিব দাঁড়ানো। আমি ভাবলাম, হয়তো তিনি আগের মত ফিরিয়ে নিতে এসেছেন। আমি তাঁকে বললাম, হে আবু মুহাম্মদ, আপনি কাউকে পাঠালেই তো আমি আপনার কাছে আসতাম। তিনি বললেন, ‘না, বরং তোমার কাছে আসাই অধিক উপযুক্ত।’ আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এখন তাহলে আমাকে কী নির্দেশ দিচ্ছেন? তিনি বললেন, তুমি তো পরিবারহীন। সদ্য বিয়ে করেছ। নিঃসঙ্গ রাত কাটাবে। তাই তোমার স্ত্রীকে নিয়ে এসেছি। সমান উঁচু হওয়ায় সে পিতার পেছনেই দাঁড়িয়ে ছিল। অতঃপর তিনি মেয়ে দরজার ভেতর রেখে দরজা ঠেলে দেন। এদিকে লজ্জায় মেয়ে পরে যায়। আমি দরজা লাগিয়ে দিই। এরপর ছাদে উঠে প্রতিবেশীদের ডাক দিই। সবাই এসে জিজ্ঞাসা করল, তোমার কী হয়েছে? আমি বললাম, সায়িদ ইবনুল মুসায়্যিব আমার সঙ্গে তাঁর মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। এমনকি তিনি না জানিয়ে তাঁর মেয়েকে রেখে গেছেন। সে এখন আমার ঘরে আছে। সবাই মেয়ের কাছে যায়। আর আমার মায়ের কাছে খবর পৌঁছলে তিনিও আসেন। মা বললেন, মেয়েকে তিন দিন পর্যন্ত সাজসজ্জা করাব। এর মধ্যে তাকে স্পর্শ করলে তোমার সঙ্গে কখনো দেখা করব না।
আমি তিন দিন অপেক্ষা করে স্ত্রীর কাছে যাই। সে ছিল সবচেয়ে সুন্দরী, রূপবতী, পবিত্র কোরআনের দক্ষ হাফেজ, রাসুল (সা.)-এর হাদিস সম্পর্কে অধিক জ্ঞানী ও স্বামীর অধিকার বিষয়ে খুবই সচেতন। দীর্ঘ এক মাস পর আমি সায়িদ ইবনুল মুসায়্যিবের দরসে উপস্থিত হই। তখন তিনি দরস দিচ্ছিলেন। সালাম দিলে উত্তর দিলেন। কোনো কথা বললেন না। একদম সবাই চলে গেলে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ওই মানুষের কী খবর? আমি বললাম, বন্ধু যেমন কল্যাণ চায় ও শত্রু যেমন মন্দ চায় সে তেমনি আছে। তিনি বললেন, তুমি কোনো কষ্ট পেলে লাঠি তো আছে। অতঃপর আমি বাড়ি ফিরে যাই। (এক বর্ণনায় আছে) তিনি আমার কাছে ২০ হাজার দিরহাম পাঠিয়ে দেন।
– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –- সত্যি কী আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা পাচ্ছেন শাকিব খান?
- হজের জন্য মাহরাম না পেলে নারীদের করণীয় কী?
- রাশিয়ার সাথে সম্ভাব্য সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে ন্যাটো: মস্কো
- অপসাংবাদিকতা মূল সাংবাদিকতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- ট্রেন সুবিধায় আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল দক্ষিণবঙ্গ: রেলমন্ত্রী
- ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে আমরা পাপমুক্ত হয়েছি’
- ‘মৎস্যসম্পদ রক্ষার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে হবে’
- উপজেলা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে যে নির্দেশনা দিল ইসি
- টেনিস খেলাকে জনপ্রিয় করতে কাজ করা হচ্ছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- ট্রেন সার্ভিসের মাধ্যমে রাজধানীর চাপ কমে আসবে: চিফ হুইপ
- ‘উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি’
- তীব্র গরমেও শীতল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
- চাই না মুক্তিযুদ্ধ চেতনাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় আসুক
- ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৫ শতাংশ কার্বণ নিঃসরণ কমাতেই হবে
- খুলেছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
- হাবিপ্রবিতে কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন
- ফুলবাড়ীতে শিক্ষার্থীদের শরবত বিতরণ
- হাকিমপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক : শসার মাস্ক
- মুসলিম উম্মাহর একাত্মতা ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে
- বাংলাদেশ-গাম্বিয়া জয়েন্ট বিজনেস টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব
- ডর্টমুন্ডের সঙ্গে এক যুগের সম্পর্ক ছিন্ন করছেন এই ফুটবলার
- ব্যাভিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে পুরস্কার পেলেন ‘অভাগী’ মিথিলা
- হজের ক্ষেত্রে শয়তান যেসব ওয়াসওয়াসা দেয়
- মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলার পরিকল্পনা ভেস্তে দিলো কুয়েত
- যেসব জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ থাকবে
- আমাদের কাছে সব প্রার্থী সমান: ইসি রাশেদা
- খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণের আহ্বান প্রধান বিচারপতির
- রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি চায় বাংলাদেশ-গাম্বিয়া
- সাত জেলায় দুপুরের মধ্যেই ঝড়-বৃষ্টির আভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা
- সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী
- দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে শিক্ষক-কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট
- ৬ শতাধিক পটল গাছ উপড়ে ফেলল দুর্বৃত্তরা, দিশেহারা কৃষক
- রাণীশংকৈলে ভুট্টাক্ষেত থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- বীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- বীরগঞ্জে হবিবর রহমান স্মৃতি রোগ প্রতিরোধ গবেষণা কেন্দ্র উদ্বোধন
- ইস্তিসকার নামাজের সময় ও বিধি-বিধান
- ঈদের দিন বন্ধ থাকবে আন্তঃনগর ট্রেন
- গোর-এ-শহীদ ময়দানে ৬ লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়
- টানা ৬ দিন বন্ধের পর হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি শুরু
- দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের ৫০০ বৃক্ষের চারা বিতরণ-রোপণ
- জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান
- দিনাজপুরে হলিল্যান্ড কলেজে ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
- রাইমা সেন কেনো হুমকি!
- দিনাজপুরে অনাবৃষ্টি আর দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে লিচুর মুকুল
- দাঁতের যন্ত্রণায় আইসক্রিম খেতে পারছেন না?
- ঘোড়াঘাটে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালিত
- রূপপুরে নতুন বিদ্যুৎ লাইন চালু মঙ্গলবার
- দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, পথেই ঝরল ২ প্রাণ
- রংপুরে ইসতিসকার নামাজ আদায়