অর্ডার ছাড়া মেলে না ‘টুরু মুদির রসগোল্লা’
প্রকাশিত: ২ নভেম্বর ২০২২
রসে টুইটুম্বর রসগোল্লা। হাতের আলতো চাপে চুইয়ে পড়ে রস। এক নামেই পরিচিত টুরু মুদির রসগোল্লা। তবে সুনাম কুড়ানো এই রসগোল্লা চাইলেই কিনতে পাওয়া যায় না। খেতে হলে দিতে হয় অগ্রিম অর্ডার।
দীর্ঘদিন থেকে স্বাদে ভরপুর এই রসগোল্লা তৈরি করে আসছেন শিরিন বেগম নামে এক নারী। তিনি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার কালিতলা গ্রামের বাসিন্দা। তার স্বামী অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য। ১৯৯৫ সাল থেকে নিজ বাড়িতেই তিনি তৈরি করে আসছেন এই রসগোল্লা।
ঘোড়াঘাট সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি উপজেলায় সুনাম রয়েছে এই রসগোল্লার। দুধ সংগ্রহ থেকে শুরু করে মিষ্টি বিক্রি সবই হয় শিরিনের নিজ বাড়িতে। টুরুর রসগোল্লা খেতে হলে একদিন অথবা দুদিন আগে দিতে হয় অর্ডার। তাই প্রতিদিন শিরিন বেগমের বাড়িতে রসগোল্লা কিনতে ও অর্ডার দিতে ভীড় করে মানুষ।
প্রতিদিন বিকেলে শিরিন বেগম তার নিজ বাড়ির সামনে বসে ভেজালমুক্ত গাভীর দুধ সংগ্রহ করে। এর পর দুধের ছানা থেকে রসগোল্লা তৈরি, সবই তার হাতের ছোঁয়ায় রসে ভরপুর রসগোল্লাতে রুপ পায়। নিজ বাড়ি থেকে প্রতিদিন তিনি ১০ থেকে ১৫ কেজি মিষ্টি বিক্রি করেন। ঈদ, পুজা ও বিয়ের মৌসুমে বিক্রি হয় কয়েক মণ রসগোল্লা।
এসব রসগোল্লা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজি দরে। এখন থেকে কয়েকমাস আগে তিনি বিক্রি করছেন ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা প্রতি কেজি। গোল্লা তৈরির উপকরণের দাম বৃদ্ধির কারণে বেড়েছে রসগোল্লার দাম। প্রতি কেজিতে ১৩ থেকে ১৪ পিছ রসগোল্লা উঠে। তার একটি রসগোল্লা বিক্রি হয় ১৫ টাকায়।
শিরিন বেগমের দাদা শুরু করেছিলেন এই রসগোল্লার ব্যবসা। দাদার মৃত্যুর পর হাল ধরেন তার বাবা আব্দুল করিম টুরু। সেই থেকে এই রসগোল্লার নাম টুরু মুদির রসগোল্লা। শিরিনের মা অসুস্থ হওয়ায় ১৯৯৫ সাল থেকে শিরিন তার বাবাকে রসগোল্লা বানানোর কাজে সহযোগীতা করত। ২০১৩ সালে তার বাবা মারা যায়। সেই থেকে বাপ-দাদার তৈরি করে আসা বিখ্যাত এই রসগোল্লা তৈরি করছেন শিরিন বেগম নিজেই।
এই রসগোল্লার ব্যবসা করে ভাগ্য ফিরেছে শিরিনের। নিজেই ধরেছেন পুরো পরিবারের হাল। সংসারে এসেছে স্বচ্ছলতা। রসগোল্লার ব্যবসা করে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র করে টাকা জমিয়েছিলেন তিনি। সেই টাকা দিয়ে তৈরি করেছেন নিজের স্বপ্নের বাড়ি।
সোমবার শিরিনের বাড়িতে গেলে দেখা মেলে কুদ্দুস মোল্লা নামে ৫৭ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের। তিনি পাশ্ববর্তী গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বড়গাঁও গ্রামের বাসিন্দা। রসগোল্লা কিনতে এসেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ের বিয়ে। গত দু‘দিন আগে ২০ কেজি মিষ্টির অর্ডার দিয়েছিলাম। আজ নিতে এসছি। আমার বাপও করিম টুরুর কাছে থেকে গোল্লা নিয়ে যেত। এই রকম অরজিনাল রসগোল্লা এখন আর পাওয়া যায় টুরুর গোল্লা ছাড়া।’
মিষ্টি খেতে এসেছিলেন কলেজ পড়ুয়া কয়েকজন যুবক। কথা হয় শিহাব সালমান নামে একজনের সাথে। সে বলে, ‘আমার বাড়ি ঘোড়াঘাটেই। পড়াশুনা করি বাহিরে। ছুটিতে বাড়িতে এসেছি। তাই বন্ধুদেরকে নিয়ে মিষ্টি খেতে আসলাম। ১ কেজি কিনতে চাইলাম। কিন্তু পেলাম না। অবশেষে সবাই একটি করে মিষ্টি খেয়ে ফিরে যাচ্ছি।’
রসগোল্লা বিক্রি করে সফল হওয়া নারী শিরিন বেগম বলেন, ‘মা অসুস্থ হওয়ার পর আমি বাবার কাজে সহযোগীতা করতাম। তখনই এই মিষ্টি বানানো শিখে যাই। বাবা মারা যাওয়ার পর আমি ব্যবসার হাল ধরেছি। এই ব্যবসার উপর দিয়ে আমার পুরো পরিবার অনায়াসে চলছে। সন্তানের পড়াশুনার খরচও আমি জোগাচ্ছি। চাহিদার কারণে খুচরা বিক্রি তেমন সম্ভব হয়না। অর্ডার দিলে চাহিদা মত গোল্লা বানিয়ে তা সরবরাহ করি। প্রায় প্রতিদিনই গোল্লার অর্ডার আসে আমার কাছে।’
– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –- দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, পথেই ঝরল ২ প্রাণ
- আগুন নেভাতে আসতে ‘দেরি করায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা
- আগুন নেভাতে আসতে ‘দেরি করায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা
- চাঁদা তুলে খেলতে আসা দলই গড়ল ইতিহাস
- মিল্টন সমাদ্দারের অপকর্ম তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি
- জুমার নামাজের ফরজ ও হারাম
- ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু, পরীক্ষার্থী ৩৩৮০০০
- তানজানিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে ১৫৫ জনের মৃত্যু
- ‘পুষ্পা: দ্য রুল’ সিনেমা মুক্তির আগেই ১০০০ কোটির ব্যবসা!
- ২ মে থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা, হতে পারে কালবৈশাখীও
- বীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- ফুলবাড়ীতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়
- গাইবান্ধায় যুব উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ নিয়ে মতবিনিময় সভা
- দিনাজপুরে বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়
- রংপুরে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- দ্বিতীয় সাক্ষাতেও গুজরাটকে হারাল দিল্লি
- খুন হওয়ার ভয়ে বাড়ি ছাড়লেন সালমান খান
- সব রোগ-ব্যাধি থেকে শেফা লাভের সূরা
- জিম্মি এক ইসরায়েলি-আমেরিকানের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
- র্যাবের নতুন মুখপাত্র আরাফাত ইসলাম
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন
- গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ
- মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- সব ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ
- হিট অ্যালার্ট আরো তিনদিন বাড়লো
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৪ মামলায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা
- ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
- সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী
- দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে শিক্ষক-কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট
- দিল্লী হাইকমিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
- ৬ শতাধিক পটল গাছ উপড়ে ফেলল দুর্বৃত্তরা, দিশেহারা কৃষক
- চুমু খেতে চাওয়া সেই পীরজাদা হারুনকে দলে নিলেন নিপুণ!
- ঈদে পার্বতীপুর- জয়দেবপুর রুটে চলবে ৩টি বিশেষ ট্রেন
- বীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এডিবির আরো সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
- ইস্তিসকার নামাজের সময় ও বিধি-বিধান
- ঈদের দিন বন্ধ থাকবে আন্তঃনগর ট্রেন
- রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সহিংসতা বাড়ছে
- বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি
- বুয়েটে অপরাজনীতি হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী
- ‘ডানপন্থী রাজনৈতিক দল নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে না’
- গোর-এ-শহীদ ময়দানে ৬ লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়
- পরীক্ষামূলক জিরা চাষে কৃষকের বাজিমাত
- টানা ৬ দিন বন্ধের পর হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি শুরু
- আইপিএলের মাঝপথে হঠাৎ দেশে ফিরলেন মুস্তাফিজ
- দিনাজপুরে হলিল্যান্ড কলেজে ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
- দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের ৫০০ বৃক্ষের চারা বিতরণ-রোপণ