• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ইভটিজিংয়ে বাধা দেওয়ায় কিশোরকে ছুরিকাঘাত

প্রকাশিত: ১২ জুন ২০২২  

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নে স্কুলগামী ছাত্রীদের ইভটিজিংয়ে বাধা দেওয়ায় এক কিশোরকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

রবিবার বেলা ১১টার দিকে সদরের হলোখানা ইউনিয়নের সুভারকুটি গ্রামের সাজেনার মোড় ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরের বাবা বাদী হয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ছুরিকাঘাতে আহত কিশোরের নাম জামিল হোসেন (১৮)। সে সুভারকুটি গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বেলা ১১টার দিকে সুভারকুটি গ্রামের সাজেনার মোড় ব্রিজের কাছে ওই গ্রামের অহিদুল ইসলাম (২০), জাহিদ হাসান (২১) ও আনিছুর রহমান (২০) সহ ৪/৫ জন যুবক স্কুলগামী কয়েকজন মেয়েকে উত্ত্যক্ত করছিল। তখন ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় একই গ্রামের জামিল হোসেন (১৮) এবং তার বন্ধু সবুজ মিয়া (১৮) ও আশিক মিয়া (১৮) ওই যুবকদেরকে স্কুলগামী মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করে এবং মেয়েদের ওই স্থান ত্যাগে সহায়তা করে। এতে অহিদুল ও তার সঙ্গীরা ক্ষিপ্ত হয়ে জামিল ও তার বন্ধুদের অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করে এবং তাদের ওপর চড়াও হয়। জামিল এর প্রতিবাদ করলে অহিদুল ও তার সঙ্গীরা জামিলকে কিল ঘুষি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে অহিদুলের সঙ্গী জাহিদ হাসান জামিলকে পেছন থেকে জাপটে ধরলে অহিদুল তার পকেটে থাকা ছুরি বের করে জামিলের পেটে আঘাত করে। এতে জামিলের পেটের বাঁ দিকে ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে রক্ত ক্ষরণ শুরু হয়। ঘটনার আকস্মিকতায় জামিলের বন্ধুরা চিৎকার করে লোকজন ডাকলে অভিযুক্ত যুবকরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীরা এসে জামিলকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় আহত জামিলের বাবা আব্দুস ছাত্তার বাদী হয়ে অহিদুলসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। ছরিকাঘাতে আহত কিশোর জামিল বর্তমানে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল চিকিৎসাধীন রয়েছে।

জামিলের বাবা আব্দুস ছাত্তার বলেন, ‘অহিদুল ও তার সাথের ছেলেরা এলাকায় মাদক সেবন করে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করাসহ নানা অপকর্ম করে। তারা আমার ছেলেকে হত্যা করতে চেয়েছে। আমার ছেলে কোনও রকমে প্রাণে বেঁচে গেছে। আমার ছেলেকে হত্যার চেষ্টাকারীদের বিচার চাই।’

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত অহিদুলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকে অহিদুল ও তার সঙ্গীরা পলাতক রয়েছে।

সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –