• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

এবার ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ কম

প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০২২  

প্রত্যাশার চেয়েও বেশি-বিদেশি ঋণসহায়তা আসায় ব্যাংক থেকে খুব একটা ঋণ নিতে হচ্ছে না সরকারকে। আর এতে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়ছে, যা দেশের অর্থনীতিকে করোনা মহামারির আগের অবস্থায় নিয়ে যেতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত বৃহস্পতিবার দেশের অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলোর পাক্ষিক তথ্য প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায়, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) প্রয়োজনীয় খরচ মেটাতে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ৮ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার। গত ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে এই অঙ্ক ছিল ১১ হাজার ১১৩ কোটি টাকা।

চলতি অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণের লক্ষ্য ধরা আছে। যেভাবে বিদেশি ঋণসহায়তা আসছে, সেটা অব্যাহত থাকলে আর রাজস্ব আদায়ের ইতিবাচক ধারা চলমান থাকলে গত অর্থবছরের মতো চলতি অর্থবছরেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সরকারকে ব্যাংক থেকে অনেক কম ঋণ নিতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম ও অর্থনীতির গবেষক আহসান এইচ মনসুর।

করোনা মহামারির ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। গতি এসেছে অর্থনীতিতে; আমদানির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রপ্তানি। রাজস্ব আদায়েও মোটামুখি ভালো প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। সবচেয়ে স্বস্তি এনে দিয়েছে বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া ঋণ সহায়তা। সে কারণেই মহামারির এই কঠিন সময়েও অর্থ সঙ্কটে পড়েনি সরকার; ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হয়নি খুব একটা। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেলসহ অন্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে স্বাভাবিক গতিতে।

সাত মাসেই প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসেই (জুলাই-জানুয়ারি) বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার কাছ থেকে ৪৬৯ কোটি (৪.৬৯ বিলিয়ন) ডলারের ঋণসহায়তা পেয়েছে বাংলাদেশ। বর্তমান বিনিময় হার হিসাবে টাকার অঙ্কে (প্রতি ডলার ৮৬ টাকা) এই অর্থের পরিমাণ ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি।

দাতা দেশ ও সংস্থাগুলোর কাছ থেকে পাওয়া এই ঋণসহায়তা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেশি। এর আগে সাত মাসে এত বেশি বিদেশি ঋণসহায়তা কখনও পায়নি বাংলাদেশ।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –