• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’র সুবর্ণজয়ন্তীতে স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ

প্রকাশিত: ১ আগস্ট ২০২১  

‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’র সুবর্ণজয়ন্তী আজ। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ ডাক অধিদফতর স্মারক ডাকটিকেট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটা কার্ড প্রকাশ করেছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার রোববার রাজধানীর সচিবালয়ে তার কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত ১০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকেট ও ১০ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন। এ সময় ৫ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটাকার্ডের উদ্বোধন করা হয়। এ বিষয়ে একটি সিলমোহরও ব্যবহার করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশের নির্যাতিত মানুষের জন্য তহবিল সংগ্রহের জন্য যুক্তরাজ্যের জনপ্রিয় পপ-সংগীত শিল্পী ও খ্যাতিমান গিটারিস্ট জর্জ হ্যারিসন ১৯৭১ সালের ১ আগস্ট পণ্ডিত রবিশঙ্করের প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের মেডিসন স্কয়ার গার্ডেনে ঐতিহাসিক ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বাংলাদেশের শরণার্থীদের সাহায্য করতে বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে এ ধরনের একটি বড় অনুষ্ঠান বিশ্বে প্রথমবারের মতো হয়েছিল।

স্মারক ডাকটিকেট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করা ছাড়াও মন্ত্রী এ বিষয়ে একটি বিবৃতি প্রদান করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, কনসার্ট ফর বাংলাদেশর গানের মূল বিষয় ছিলো বিশ্বের মানুষের কাছে বাংলাদেশের নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো।

মন্ত্রী বলেন, গানের কথায় প্রকারান্তরে আবেদন ছিলো ‘সকলের কাছে মিনতি জানাই আজ আমি তাই/ কয়েকটি প্রাণ এসো না বাঁচাই’, বাংলাদেশ-বাংলাদেশ/দেখছি সেখানে সকলই ধ্বংস/কত শত প্রাণ মরে নিঃশেষ/দেখিনি এমন বেদনা অশেষ/বাংলাদেশ-বাংলাদেশ’।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’র বড় আকর্ষণ ছিলেন জর্জ হ্যারিসন ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বনামখ্যাত শিল্পী বব ডিলান। জর্জ হ্যারিসন আটটি গান গেয়েছিলেন। বব ডিলান গেয়েছিলেন পাঁচটি গান। এছাড়াও ওই অনুষ্ঠানে রিঙ্গো স্টার ও বিলি প্রেস্টন একটি করে গান করেছিলেন। লিওন রাসেল একটি একক এবং ডন প্রেস্টনের সঙ্গে ডুয়েল গান গেয়েছিলেন।

অনুষ্ঠানের শেষ গানটি ছিল জর্জ হ্যারিসন কণ্ঠে সেই অবিস্মরণীয় গান ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’। তিনি নিজেই এ গানটি লিখেন এবং সুর দেন।

বিবৃতিতে মন্ত্রী উল্লেখ করেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ একটি অসাধারণ গৌরবোজ্জ্বল ও অবিস্মরণীয় ঐতিহাসিক ঘটনা।

উল্লেখ্য, স্মারক ডাকটিকেট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটাকার্ড আগামী বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা জিপিও’র ফিলাটেলিক ব্যুরো এবং পরে দেশের অন্যান্য জিপিও ও প্রধান ডাকঘর থেকে সংগ্রহ করা যাবে।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –