• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

খাদ্যপণ্য মজুদ করলে সর্বোচ্চ শাস্তি: বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০২২  

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, টিসিবির পণ্য বিপণন সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। রমজান মাসে মানুষ যাতে সাশ্রয়ী মূল্যে খাদ্যপণ্য পায় সেজন্য ভর্তুকি দিয়েও মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য সহায়তা দিচ্ছে সরকার। মানুষের এই খাদ্যপণ্য নিয়ে কোনো অসাধু ব্যবসায়ী যদি মজুদসহ কোনোরূপ কারসাজি করে তবে তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি পেতে হবে। এজন্য জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে।

রবিবার (২০ মার্চ) দুপুরে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে টিসিবির পণ্য বিক্রয় উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

টিপু মুনশি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির কারণেই আমাদের দেশের বাজারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। যদি আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমে তাহলে দেশের বাজারে দাম কমবে। তবে টিসিবির পণ্য বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। শুল্ক প্রত্যাহার সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশের পর আজ থেকেই ভোজ্যতেল অন্তত ১০ টাকা কমে বাজারে আসবে।

তিনি বলেন, ২০ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত সারা দেশে প্রথম কিস্তিতে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে। দ্বিতীয় কিস্তিতে ৩ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এ পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি। সুশৃঙ্খলভাবে পণ্য বিক্রির জন্য দেশব্যাপী তালিকা তৈরি করে বিশেষ ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় স্থানীয় জনসংখ্যা, দারিদ্র্যের সূচক বিবেচনায় নিয়ে এ তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এতে প্রায় ৫ কোটি মানুষ উপকৃত হবেন। বিতরণের আগের দিন ফ্যামিলি কার্ড সুবিধাভোগীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সে সময় কার্ডহোল্ডারদের পণ্য বিক্রয়ের স্থান ও সময় জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী নির্ধারিত স্থানে একযোগে পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, প্রত্যেক পরিবারকে ২ লিটার সয়াবিন তেল ১১০ টাকা দরে, ২ কেজি চিনি ৫৫ টাকা দরে, ২ কেজি মসুর ডাল ৬৫ টাকা দরে এবং ২ কেজি ছোলা ৫০ টাকা দরে দেওয়া হচ্ছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রংপুর জেলা প্রশাসক আসিফ আহসান বলেন, রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকা, তিনটি পৌরসভা ও আট উপজেলার মোট দুই লাখ ৮৩ হাজার ৩১২ পরিবার উপকারভোগীর তালিকায় থাকছে। এর মধ্যে করোনাকালীন উপকারভোগীর সংখ্যা ৯৮ হাজার এবং এক লাখ ৮৫ হাজার ৩১২ জন নতুন। এসব এলাকায় ১৩৫ জন ডিলারের মাধ্যমে ২২২টি কেন্দ্রে এসব পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম চলবে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাউনিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মায়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা তারিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শহীদবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান ও বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী প্রমুখ।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –