• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

‘গরিবের অ্যাম্বুলেন্স’ ফেরায় বিদায় নিলো ‘গরিবের রেলগাড়ি’

প্রকাশিত: ৩০ আগস্ট ২০২৩  

    
গাইবান্ধার বোনারপাড়া-পঞ্চগড় রুটে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে বন্ধ থাকা ‘গরিবের অ্যাম্বুলেন্স’ খ্যাত রামসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি পুনরায় চালু হয়েছে। একইসঙ্গে শ্রমজীবী মানুষের বাহন ‘গরিবের রেলগাড়ি’ খ্যাত কাঞ্চন কমিউটার ট্রেনটি বন্ধ হয়ে গেছে। তবে শ্রমজীবী মানুষের বাহন এই ট্রেনটি চালু রাখার দাবি জানিয়েছেন দিনাজপুরের মানুষ।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়ায় রামসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটির যাত্রা উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। বুধবার ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে বোনারপাড়া থেকে ছেড়ে দিনাজপুর হয়ে মেইল ট্রেনটি উত্তরের শেষ জেলা পঞ্চগড়ের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ৪০ মিনিট দেরিতে বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটের স্থলে ১২টা ২৫ মিনিটে ট্রেনটি দিনাজপুর স্টেশনে ২নং প্ল্যাটফর্মে পৌঁছায়। ৫ মিনিটের যাত্রাবিরতি দিয়ে পঞ্চগড়ের উদ্দেশে ছেড়ে যায় এটি। এই ট্রেনটি চালু করতে গিয়ে পার্বতীপুর থেকে পঞ্চগড়, মাঝখানে চিরিরবন্দর, দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ হয়ে পঞ্চগড়গামী নিম্নবিত্তদের প্রয়োজনীয় ট্রেন কাঞ্চন কমিউটার বন্ধ করে দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ের মানুষের জন্য রামসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালু হওয়া যেমন আনন্দের, তেমনি ‘গরিবের রেলগাড়ি’ খ্যাত কাঞ্চন কমিউটার ট্রেনটি বন্ধ হয়ে যাওয়া বিষাদের।

চিরিরবন্দর উপজেলার বাসিন্দা মঞ্জুর আলী শাহ ‘চিরিরবন্দর বার্তা’ নামে একটি ফেসবুক পেজে বিশাল এক পোস্ট দিয়েছেন। তার পোস্টে একটি অংশে তিনি লিখেছেন, ‘পার্বতীপুর থেকে দিনাজপুরগামী এই ট্রেনটির অধিকাংশ যাত্রী পার্বতীপুর ও চিরিরবন্দর উপজেলার মানুষ। বিশেষ করে শহরমুখী কাঁচাবাজারের পণ্য সরবরাহের এ অন্যতম বাহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম বেকায়দায় পড়বে যাত্রীরা। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্য আগের সময় ঠিক রেখে পুনরায় কাঞ্চন কমিউটার ট্রেনটি চালু করা হোক।’

দিনাজপুর সংবাদপত্র হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রুবেল ইসলাম বলেন, কাঞ্চন কমিউটার ট্রেনটি আমরা এই জেলার মানুষ ‘গরিবের রেলগাড়ি’ হিসেবে জানতাম। সকালে চিরিরবন্দর পার্বতীপুরের মানুষ এবং বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ, দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ ও বিরলের মানুষ সবজিসহ সব ধরনের কাঁচাবাজার নিয়ে আমাদের শহরে এসে বিক্রি করতো। আবার রাতের ট্রেনে ফিরে যেত। ট্রেনটি বন্ধ হওয়ায় তা আর হবে না। আমরা আগের মতো কাঞ্চন কমিউটার ট্রেনটি চালু রাখার দাবি জানাই।

দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশন সুপার এবিএম জিয়াউর রহমান জানান, রামসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালু হওয়ায় সবচেয়ে লাভবান হবে দিনাজপুরের মানুষ। এ ট্রেনটি চালু হওয়ায় এই রুটের সময়সূচি নিয়ে কাজ চলছে, তাই সাময়িকভাবে কাঞ্চন কমিউটার ট্রেনটির চলাচল স্থগিত রাখা হয়েছে। যেকোনো সময় ট্রেনটি পার্বতীপুর থেকে দিনাজপুর হয়ে আগের মতো চলাচল করবে। তবে প্রথম দিন রামসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে যাত্রীদের ভালো সাড়া পাওয়া গেছে।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –