• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চীনের লুকিয়ে রাখা প্রযুক্তি উদ্ভাবন, অচল ডেমু ট্রেন আবারো ছুটবে

প্রকাশিত: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২  

দীর্ঘদিন অচল থাকার পর আবারো রেলওয়ে ট্র্যাকে (রেলপথ) ছুটতে যাচ্ছে ডিজেল-ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট অর্থাৎ ডেমু ট্রেন। চীনের লুকিয়ে রাখা প্রযুক্তি বের করে দেশীয় প্রকৌশলীরা সচল করেছে ট্রেনগুলো।

দিনাজপুর পার্বতীপুরে কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানার (কেলোকা) প্রধান নির্বাহী (সিএক্স) প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম ডেইলি বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, চীন থেকে আমদানি করা এসব ট্রেন দীর্ঘদিন অকেজো হয়ে পড়েছিল। বাংলাদেশের প্রকৌশলীরা নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডেমু ট্রেনগুলো সচল করেছে। কয়েকদিনের মধ্যে দিনাজপুর রুটে দুটি ডেমু ট্রেন চলবে।

নির্বাহী প্রৌকশলী জানান, চীনের লুকিয়ে রাখা প্রযুক্তি হটিয়ে দেশের ইঞ্জিনিয়াররা নিজেদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে দিনাজপুরের পার্বতীপুর ডিজেল ওয়ার্কশপে সচল করেছে ডেমু ট্রেন। দেশি প্রযুক্তিতে ডেমু মেরামত আমাদের বিশাল অর্জন। একে বড় সাফল্য বলা যেতে পারে। এ প্রযুক্তিতে ট্রেন মেরামত করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হয়েছে। তবে এ ধরনের ডেমু মেরামতের জন্য আমাদের ডেডিকেটেড রেলওয়ে কারখানা প্রয়োজন।

সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা খরচে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ রেলে যুক্ত হয় ২০ সেট ডেমু ট্রেন। কিন্তু ৪ বছরও এর সেবা পায়নি মানুষ। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ৪ বছরের মাথায় অচল হতে শুরু করে ট্রেনগুলো। এগুলো সারাতে উৎপাদনকারী চীনা প্রতিষ্ঠান ক্রয়মূল্যের কাছাকাছি অর্থ দাবি করে। খরচের কথা বিবেচনায় মেরামত করা হয়না ট্রেনগুলো।

প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন পর দেশীয় প্রযুক্তিতে সচল করা হলো সেই ডেমু ট্রেনগুলো। শুধু ডেমু ট্রেনের খোলস রেখে সবকিছু পাল্টে দেওয়া হয়েছে। সাশ্রয় হয়েছে কোটি কোটি টাকা। এরই মধ্যে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে ট্রায়াল রান। মডিউল পাল্টে ডেমু ট্রেনে বসানো হয়েছে ইনভার্টার। কোটি টাকার চীনা ব্যাটারি বাদ দিয়ে সুলভ মূল্যের ব্যাটারির সাহায্যেই দিব্যি স্বাভাবিক গতিতে ছুটে চলছে ডেমু ট্রেন।

তিনি বলেন, প্রযুক্তির আগাগোড়া প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে এই অসাধ্য সাধন সম্ভব হয়েছে। দীর্ঘদিন পর ডেমু সচল হওয়ায় রাস্তার দুপাশে ভিড় জমায় সাধারণ মানুষ। সফলভাবে শেষ হয় পার্বতীপুর থেকে লালমনিরহাট পর্যন্ত ট্রায়াল রান। অপেক্ষাকৃত স্বল্প দূরত্বে চলাচল উপযোগী দুইদিকে ইঞ্জিন, মাঝখানে বগি থাকায় এগুলো বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। চালু হলে জনগণ রেলের সুবিধা পাবে। যোগাযোগ মাধ্যম গতিশীল হবে। ডেমু এখন যাত্রী পরিবহনের জন্য প্রস্তুত।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –