• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

দিনাজপুরে সংকটে সম্ভবনাময় পাঁপড় শিল্প

প্রকাশিত: ১ সেপ্টেম্বর ২০২০  

পাঁপড়, বাঙালির মুখরোচক একটি খাবার। দেশের যেসব জেলায় পাঁপড় উৎপাদন করা হয় তার মধ্যে অন্যতম দিনাজপুর জেলা। জেলার চকবাজার, রাজবাটী, নতুনপাড়া, বড়বন্দরসহ বিভিন্ন এলাকায় তৈরি হয় পাঁপড়। এ পাঁপড় শিল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন কয়েক হাজার শ্রমিক। এখানকার উৎপাদিত পাঁপড়ের শুধু দেশে নয়, বিদেশেও বেশ চাহিদা রয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর মাধ্যমে অনেক শ্রমিকই প্রশিক্ষণ পেয়েছিলেন। কোনো কোনো রফতানিকারক বিদেশে রফতানিও করেছিলেন। রফতানি বন্ধ হওয়ায় এর সঙ্গে জড়িতদের আয় কমেছে। এক সময়ে যারা পাঁপড় তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তাদের সংসার ও ঋণের কিস্তি চালানো এখন অনেক কষ্টকর হয়ে পড়েছে, তার উপর রয়েছে করোনার থাবা।

ব্যবসায়ী ও রফতানিকারক শিবলু সাহা বলেন, এক সময়ে রফতানি হলেও পরে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। যার মূল কারণ সরকারের সঠিক সহযোগিতার অভাব। পাশাপাশি রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোরও দোষ রয়েছে। বিদেশে পাঁপড়ের ব্যাপক চাহিদা থাকায় সরকার পদক্ষেপ নিলে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি দেশও লাভবান হবে।

বিশ্বব্যাপী পাঁপড়ের চাহিদা থাকায় ২০১৩ সালে বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো দিনাজপুরে উৎপাদিত পাঁপড় রফতানির উদ্যোগ নিয়েছিল। পাঁপড় শ্রমিক ও উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণও প্রদান করে। ২০১৬ সালে একবার পাঁপড় লন্ডনে রফতানি হয়েছিল। কিন্তু অজানা কারণে সেই উদ্যোগটি বন্ধ হয়ে যায়।

বর্তমানে দিনাজপুরে বড় পাঁপড় ব্যবসায়ী আছেন ৫৬ জন আর ছোটবড় সবমিলে রয়েছেন প্রায় ২ শতাধিক। দিনাজপুরে পাঁপড়ের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক আছে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার। যার মধ্যে প্রায় ৭০ হাজারই নারী। প্রতিদিন এই জেলায় ১০ থেকে ১২ টন মুগ, মসুর, খেসারিসহ বিভিন্ন ডালের পাঁপড় তৈরি হয়। তবে করোনার এ সময়ে পাঁপড়ের উৎপাদন কমেছে ৩ থেকে ৪ টন।

প্রকারভেদে এক কেজি পাঁপড়ের সর্বনিম্ন মূল্য ১০০ টাকা আর সর্বোচ্চ মূল্য ২৫০ টাকা। পাঁপড় দেশে-বিদেশে রফতানির জন্য পাঁপড় পল্লী নামে একটি জায়গা দাবি করেছিল পাঁপড় ব্যবসায়ী সমিতি, কিন্তু পরে তা হয়নি।

দিনাজপুরের ডিসি মাহমুদুল আলম বলেন, দিনাজপুরের পাঁপড় সম্ভবনাময় একটা শিল্প। এ পাপর শুধু দিনাজপুরেই তৈরি হয় । এ শিল্পকে বাঁচাতে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো ও সরকারের পৃষ্টপোষকতা দরকার। এ শিল্পকে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রাণালয়ে চিঠি চালাচালি করা হয়েছে। 

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –