ধুলামুক্ত রাস্তা চায় হিলিবাসী

চলমান শুষ্ক মৌসুমে দিনাজপুরের হিলির বিভিন্ন রাস্তা এখন ধুলার রাজ্যে পরিণত হয়েছে। এতে অনেকটা বিপাকে পড়তে হচ্ছে পথচারীদের। তবে স্থানীয় পৌর কর্তৃপক্ষের দাবি, পানি ছিটিয়ে ধুলা নিবারণের চেষ্টা চলছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হিলি শহরের উপজেলা পরিষদ থেকে চারমাথা ও সিপি থেকে ঘোড়াঘাট পর্যন্ত রাস্তার নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া হিলি চারমাথা থেকে জালালপুর পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। প্রতিদিন হিলি শূন্যরেখা থেকে ভারত থেকে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে কয়েকশ ট্রাক পানামা পোর্টে প্রবেশ করে। এতেও সড়কে প্রচুর ধুলা হয়।

এমন পরিস্থিতিতে গতকাল শনিবার (২ মার্চ) দুপুরে ‘তাজা অক্সিজেন নিতে চাই’, ‘আগামীর প্রজন্মকে বাঁচাতে চাই’ এমন স্লোগানে হিলি শহরকে ধুলামুক্ত রাখতে স্থানীয় শতাধিক যুবক র্যালি করেন। র্যালি শেষে হিলি সিপি রাস্তায় থাকা ধুলা পরিষ্কার করেন তারা।

সমাজসেবক জাবেদ হোসেন রাসেল বলেন, শতাধিক স্থানীয় শিক্ষার্থী নিয়ে র্যালি করে জিরোপয়েন্ট থেকে চারমাথা পর্যন্ত সড়কের ধুলা অপসারণের কাজ করা হয়। চলতি শুষ্ক মৌসুমে ধুলা-বালির কারণে রাস্তায় চলাচলই দায় হয়ে পড়েছে। পাশাপশি নানা রকম স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়তে হচ্ছে শিশু শিক্ষার্থীদের। আমরা হিলিবাসী ধুলামুক্ত শহর চাই।

হিলি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী রায়হান কবির বলে, আমার বাড়ি সিপি রোডে। বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ে যেতে ধুলায় নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। ধুলার কারণে আমাদের অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। আমরা ধুলা থেকে পরিত্রাণ চাই।

ষাটোর্ধ্ব রিকশাচালক আমেদ আলী বলেন, হিলির প্রায় সব রাস্তাই ভাঙা। কয়েকটি রাস্তায় ধুলার কারণে চলাচল করতে দম বন্ধ হয়ে যায়। ধুলার কারণে যাত্রীরাও রিকশায় চড়তে চান না। আয় রোজগার কমে গেছে।

জানতে চাইলে হিলি তুরা-করিডোর কমিটির অন্যতম সদস্য জাহিদুল ইসলাম বলেন, দেশের অন্যতম স্থলবন্দর হচ্ছে হিলি স্থলবন্দর। এই বন্দর দিয়ে সরকার হাজার কোটি টাকা আয় করে। কিন্তু হিলির দুঃখ রাস্তাঘাট। শহরের অধিকাংশ রাস্তা এখন ধুলার রাস্তা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। আমাদের চলাচল দায় হয়ে পড়েছে।

জানতে চাইলে হাকিমপুর পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, হিলির রাস্তার উন্নয়ন চলাকালীন সবাইকে একটু কষ্ট করতে হবে। আমারা পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রতিদিন পানি ছিটিয়ে ধুলা নিবারণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –