• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

নদী ভাঙনে খানসামার শতাধিক পরিবারে আতঙ্ক

প্রকাশিত: ১৫ জুলাই ২০২৩  

 
আত্রাই নদীর তীরবর্তী ভাঙনের শঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন নদীর পাড়ের মানুষ। দিনাজপুরের খানসামার ভাবকি ইউপির চাকিনীয়া, খামারপাড়া ইউনিয়নের মালিজালের ঘাট ও জোয়ার গ্রামের অনেক স্থানে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। এতে নদী গর্ভে ভিটেমাটি বিলীন আতঙ্কে রয়েছেন আত্রাই নদী পাড়ের মানুষ।

বর্ষায় নদী ভাঙনে ইতিমধ্যেই ২৫০ একর আবাদি কৃষি জমি বিলীন হয়েছে। নদী ভাঙনের কারণে এসব এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

খানসামার ভাবকি ইউনিয়নের পশ্চিম-দক্ষিণে চাকিনীয়া, খামারপাড়া ইউনিয়নের জোয়ার ও মালিজালের ঘাট দাসপাড়ায় আত্রাই নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে গেছে। স্থানীয় মানুষ জীবিকা নির্বাহের একমাত্র সম্বল কৃষি জমি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। নদীর পাশ দিয়ে চলাচলের একমাত্র সড়ক ভাঙনের মুখে। এতে এসব এলাকায় বসবাসরত লোকজন চরম দুশ্চিন্তায় দিন অতিবাহিত করছেন।

স্থানীয়রা জানায়, গত তিনবছর পূর্বে বর্ষাকালে হঠাৎ নদী গতিপথ পরিবর্তন হয়ে আবাদি জমির ওপর দিয়ে স্রোত প্রবাহিত হয়। এতে প্রায় ২৫০ একর আবাদী জমি নদীতে পরিণত হয়। এরপর গতবছরের বর্ষায় প্রায় ১০০ একর জমি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এ বছর নদী ভাঙতে ভাঙতে একেবারে বসতবাড়ির নিকট এসে পৌঁছেছে। 

আত্রাই নদী পাড়ের বাসিন্দা আব্দুল গনি বলেন, আমার ৩ বিঘা আবাদি জমি ছিল। এ জমি চাষ করেই সংসার চলত। এ বছর নদীতে সেই শেষ সম্বল জমি ও গাছপালা বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে এখন বসত বাড়িঘর নিয়ে হুমকির মধ্যে রয়েছি।

নদীর পাড়ের আরেক বাসিন্দা আব্দুস সামাদ জানান, নদী ভাঙতে ভাঙতে আমার বাড়ির নিকট চলে এসেছে। এ বছর মনে হয় আর বাড়িতে থাকা হবে না। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য মকবুল হোসেন বলেন, আমারও ৫ বিঘা জমি নদীতে চলে গেছে। নদী ভাঙন রোধে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পরামর্শে খানসামা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানিয়েছি।

ভাবকি ইউপি চেযারম্যান রবিউল আলম তুহিন বলেন, বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –