পরিশ্রমী নারী, কৃষিতেও এগিয়ে
প্রকাশিত: ৮ মার্চ ২০২১
এক সময় ঘরে বসেই অলস সময় কাটতো তাদের। দারিদ্রতা ছিল নিত্য সঙ্গী। নিজেদের প্রয়োজনেই ঘর থেকে বের হন তারা। বেছে নেন কষ্টের ক্ষেতমজুর পেশা। রোদ বৃষ্টি কিংবা প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় মানুষের কাজ করে জোটে তাদের দুমুঠো অন্ন, চলে সংসারের চাকা। আধুনিকায়নের যুগে কৃষি শ্রমিকের সংকট হলেও এখনো পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় নারী ক্ষেতমজুরদের।
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার খোঁচাবাড়ি গ্রাম। কিছু বসতবাড়ি আর গাছ-পালার ফাঁকে তাকালেই দেখা যায় দিগন্ত জুড়ে সবুজ ধানক্ষেত। এসব ক্ষেতে আগাছা তুলছেন কিছু নারী। পুরনো শাড়ির ওপর পুরনো শার্ট পরে ধান নিড়ানি দিচ্ছেন তারা।
দলবেঁধে কাজ করায় পানির খলখল শব্দ ভেসে আসছে। তারা পেশায় নারী ক্ষেতমজুর। বছরের পর বছর এভাবেই সব ধরনের কৃষি শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন। তাদের বেশির ভাগই হিন্দু ধর্মাবলম্বী।
জানা গেছে, এক সময় ঘরে বসেই অলস সময় কাটতো তাদের। মাথার ওপর দারিদ্রতা আর সংসারে অভাব অনটন ছিল নিত্য সঙ্গী। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জীবিকার তাগিদে স্বামীর সঙ্গে নিজেরাও ক্ষেতমজুর পেশা বেছে নেন। ধানের চারা রোপণ, আগাছা পরিষ্কার, ধান কাটা-মাড়াইসহ সব ধরনের কৃষি কাজ করেন পঞ্চগড়ের এই নারী কৃষি শ্রমিকরা।
স্থানীয় ভাষায় তারা ক্ষেতমজুর হিসেবে পরিচিত। রোজ সকালে রান্নাবান্না সেরে সন্তানদের খাইয়ে দলবেঁধে কাজে বেরিয়ে পড়েন তারা। ১০ থেকে ১২ জনের প্রতিটি দলে নারী শ্রমিকদের সঙ্গে থাকেন দু-একজন পুরুষ শ্রমিকও। পুরনো শাড়ির ওপর পরে নেন পুরনো শার্ট। এরপর সূর্যাস্ত পর্যন্ত চলে শ্রম বিনিময়। বৃষ্টিতে ভিজে আর রোদে পুড়ে শ্রম দিয়ে চলে তাদের সংসারের চাকা। স্বামীর পাশাপাশি তারাও এখন উপার্জন করে সংসারের হাল ধরেছেন। মানুষের জমিতে মজুর খেটে দৈনিক আয় হয় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। সেই টাকায় সংসারের খরচ মিটিয়ে শোধ করছেন ঋণ, চালিয়ে যাচ্ছেন সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ।
আধুনিকায়নের এ যুগে কৃষি শ্রমিকদের সংখ্যা কমে এলেও এখানকার নারীরা বছরের পর বছর ধরে রেখেছেন কষ্টসাধ্য এ পেশা। শুধু এই গ্রামেই নয়, পঞ্চগড়ে বিভিন্ন এলাকায় দেখা মিলবে নারী ক্ষেতমজুরদের। তারা এখন আর সমাজের বোঝা নয়, সমাজের সফল শ্রমজীবী মানুষ। তাই তাদের মনে কোনো কষ্ট নেই, আছে গর্ব করে বলার মতো সাহস।
দেবীগঞ্জ উপজেলার খোঁচাবাড়ি এলাকার নারী ক্ষেতমজুর প্রমিলা রাণী বলেন, আমি ২০ বছর ধরে ক্ষেতমজুর হিসেবে কাজ করছি। শুরুতে মানুষজন নানা কথা বলতেন। কিন্তু এখন আর কিছু বলেন না। আমরা মজুর দিয়ে দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পাই। সেই টাকা আমাদের সংসারের কাজে লাগে। গরু ছাগল কিনে পুষি। ঘর সংসার সামলে আমরা এভাবেই বছরের পর বছর এই পেশা ধরে রেখেছি।
গীতা রাণী নামে আরেক নারী ক্ষেতমজুর বলেন, অভাবী সংসার তাই এই কষ্টসাধ্য পেশা বেছে নিতে বাধ্য হয়েছি। যতদিন মাঠে ফসল থাকে আমাদের কাজ ততদিন থাকে। ধানের চারা রোপণ, নিড়ানি দেয়া ও কাটা-মাড়াই, বাদাম, আলু, পাট, গম, ভুট্টাসহ সব ধরনের কৃষি কাজ করি। স্বামীর পাশাপাশি আমরা এই কাজ করে সংসারটা সুন্দরভাবে চালাচ্ছি। ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া করাচ্ছি। এনজিও থেকে নেয়া ঋণ শোধ করছি। কষ্ট হলেও পরিবারের জন্য কিছু করতে পারছি এটাই আনন্দের।
তার মতো মিনিবালা নামের আরেক নারী শ্রমিক বলেন, আমরা রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে কৃষকের ফসলের পরিচর্যাসহ মাড়াইয়ের কাজ করি। দারিদ্রতা আর ভাগ্য আমাদের এই পেশায় নিয়ে এসেছে। দলবেঁধে গল্প গুজব করে কাজ করি। রোজ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শ্রম দিয়ে আবার রাতে রান্নাবাড়া করে খেয়ে ঘুমাই। আমাদের কথা কেউ বলে না। সবাই ছোট করে দেখে। সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা আমাদের ভাগ্যে মেলে না।
সুরেশ চন্দ্র রায় নামে এক শ্রমিক বলেন, আমাদের দলে ১০-১২ জন নারী দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। তাদের নিয়ে আমরা বিভিন্ন কৃষকের কাজ চুক্তিতে করে থাকি। তারা এখন আর সমাজের বোঝা নয় কাজ করে খান।
কৃষি উদ্যোক্তা রবিউল ইসলাম মানিক বলেন, বিশ বছর আগে এই এলাকায় এসেছিলাম। তখন এ এলাকার মানুষরা চরম অভাবে দিন পার করতেন। কিন্তু সেই চিত্র বদলে গেছে। স্বামীর পাশাপাশি নারীরাও বিভিন্ন কৃষি খামারসহ মজুর হিসেবে কাজ করে সংসারের হাল ধরেছেন। তাদের আর আগের মতো অভাব নেই।
পরস্পর এনজিওর নির্বাহী পরিচালক ও পঞ্চগড় জেলা পরিষদের সদস্য আখতারুন্নাহার সাকী বলেন, নারীরা তাদের প্রয়োজনেই ঘর থেকে বের হয়েছেন। তারা মাঠে কাজ করে উপার্জন করছেন। আমাদের এলাকায় তেমন শিল্প কারখানা না থাকায় কৃষি শ্রমিকের কষ্টসাধ্য পেশা বেছে নিয়েছেন। ঘর সংসার সামলেও দৈনিক মজুরবৃত্তি করছেন। তারা আমাদের গর্ব।
– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –- বীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- ফুলবাড়ীতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়
- গাইবান্ধায় যুব উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ নিয়ে মতবিনিময় সভা
- দিনাজপুরে বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়
- রংপুরে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- দ্বিতীয় সাক্ষাতেও গুজরাটকে হারাল দিল্লি
- খুন হওয়ার ভয়ে বাড়ি ছাড়লেন সালমান খান
- সব রোগ-ব্যাধি থেকে শেফা লাভের সূরা
- জিম্মি এক ইসরায়েলি-আমেরিকানের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
- র্যাবের নতুন মুখপাত্র আরাফাত ইসলাম
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন
- গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ
- মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- সব ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ
- হিট অ্যালার্ট আরো তিনদিন বাড়লো
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৪ মামলায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা
- ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
- গুচ্ছের হাবিপ্রবি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ১২৩৪১ জন
- ঘোড়াঘাটে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৪ নির্দেশনা
- চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
- উপজেলা নির্বাচনে বিজিবি মোতায়েন করা হবে
- পুলিশের প্রতি ১১ নির্দেশনা
- প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ২৬ প্রার্থী
- সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী
- দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে শিক্ষক-কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট
- দিল্লী হাইকমিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
- ৬ শতাধিক পটল গাছ উপড়ে ফেলল দুর্বৃত্তরা, দিশেহারা কৃষক
- চুমু খেতে চাওয়া সেই পীরজাদা হারুনকে দলে নিলেন নিপুণ!
- ঈদে পার্বতীপুর- জয়দেবপুর রুটে চলবে ৩টি বিশেষ ট্রেন
- আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এডিবির আরো সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
- ইস্তিসকার নামাজের সময় ও বিধি-বিধান
- ঈদের দিন বন্ধ থাকবে আন্তঃনগর ট্রেন
- রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সহিংসতা বাড়ছে
- বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি
- বুয়েটে অপরাজনীতি হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী
- ‘ডানপন্থী রাজনৈতিক দল নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে না’
- গোর-এ-শহীদ ময়দানে ৬ লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়
- পরীক্ষামূলক জিরা চাষে কৃষকের বাজিমাত
- টানা ৬ দিন বন্ধের পর হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি শুরু
- আইপিএলের মাঝপথে হঠাৎ দেশে ফিরলেন মুস্তাফিজ
- দিনাজপুরে হলিল্যান্ড কলেজে ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
- দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের ৫০০ বৃক্ষের চারা বিতরণ-রোপণ
- রাইমা সেন কেনো হুমকি!