• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বন্ধ হয়ে গেছে বড়পুকুরিয়া খনির কয়লা উত্তোলন

প্রকাশিত: ৩০ আগস্ট ২০২৩  

 
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর পার্শ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া খনিতে কয়লা উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খনির ভূগর্ভের ১১১৩ নম্বর কোল ফেইসের (কয়লা উত্তোলনের গমন ও নির্গমন মুখ) মজুদ কয়লা উত্তোলন শেষ হওয়ায় বুধবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়পুুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের চলতি দায়িত্বে থাকা মহাব্যবস্থাপক-জিএম (মাইন অপারেশন) খান মো. জাফর সাদিক।

জানা যায়, চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল থেকে খনির ভূগর্ভের ১১১৩ কোল ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হয়। যা বুধবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলমান ছিল। এই কোল ফেইস থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব হয়েছে। ১১১৩ কোল ফেইসের মজুদ কয়লা শেষ হওয়ায় কোল ফেইসটি বুধবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নতুন ১৪১২ নম্বর কোল ফেইসের মজুদ কয়লা উত্তোলনের জন্য কোল ফেইসের ভূগর্ভে যন্ত্রপাতি স্থানান্তরসহ উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্য অন্তত দুই মাস সময় লেগে যাবে। ১৪১২ নম্বর কোল ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন কার্যক্রম শুরু করতে অক্টোবরের শেষ অথবা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ লেগে যাবে। 

বড়পুুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের চলতি দায়িত্বে থাকা মহাব্যবস্থাপক-জিএম (মাইন অপারেশন) খান মো. জাফর সাদিক কয়লা উত্তোলন বন্ধ হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ১১১৩ কোল ফেইসের সকল যন্ত্রপাতি নতুন ১৪১২ কোল ফেইসে স্থান্তর, স্থাপনসহ ভূগর্ভে উন্নয়ন কাজ শেষ করতে অন্তত দুই মাস লেগে যাবে। এক্ষেত্রে অক্টোবরের শেষ অথবা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কয়লা উত্তোলন কার্যক্রম শুরু করা যাবে। ১৪১২ নম্বর কোল ফেইসে ২ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব হবে। তবে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির এবং বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোল ইয়ার্ডে ১ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুদ রয়েছে। মজুদ কয়লা দিয়ে অন্তত দুইমাস তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যাৎ উৎপাদন কার্যক্রম সচল রাখা যাবে।

বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী প্রকৌশল মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, বর্তমানে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়ার্ট ক্ষমতা সম্পন্ন ৩ নম্বর ইউনিটটি চালু রয়েছে। ৩ নম্বর ইউনিট থেকে প্রতিদিন গড়ে ১৮০ থেকে ২২০ মেগাওয়ার্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয়  গ্রীডে যোগ হচ্ছে। ইউনিট চালু রাখতে প্রতিদিন ২ হাজার মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন। বর্তমানে কয়লাখনি ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোল ইয়ার্ডে মজুদ ১ লাখ ১০ হাজার কয়লা দিয়ে অন্তত দুই মাস বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। তবে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে কয়লা স্বল্পতার জন্য ২০১৯ সাল থেকে ১ নম্বর ইউনিট বন্ধ রয়েছে। তবে ২ নম্বর ইউনিটটি অভার হোলিংয়ের জন্য দুই নম্বর ইউনিটটি বন্ধ হয়ে রয়েছে। রংপুর বিভাগে এক হাজার মেগাওয়ার্ট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট থেকে মাত্র ১৮০ থেকে ২২০ মেগাওয়ার্ট উৎপাদিক বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিট চালু রাখতে প্রতিদিন ৪ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন থেকে ৫ হাজার মেট্রিক টন প্রতিদিন কয়লার প্রয়োজন হবে। 

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. সাইফুল ইসলাম সরকারকে তার দাপ্তরিক মুঠোফোনে একাধিকবরা ফোন দেওয়া হলে ফোনের রিং বাজলে তিনি ফোনকলটি গ্রহণ না করায় এ বিষয়ে তার মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –