• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

রমেক হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার চুরি করতে এসে আটক ৬

প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২১  

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টোর থেকে ভুয়া চালানের মাধ্যমে অক্সিজেন সিলিন্ডার চুরির চেষ্টায় জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে অক্সিজেন সিলিন্ডার পাচার চক্রের সদস্য সন্দেহে তিন ট্রাকচালক ও হেলপারকে আটক করেন হাসপাতালের কর্মচারীরা। এ সময় সিলিন্ডার পরিবহনের জন্য নিয়ে আসা তিনটি ট্রাকও জব্দ করা হয়।

আটক ট্রাকচালকরা হলেন, জহুরুল ইসলাম, হাবিল, সুজন হোসেন ও হেলপার সাঈদ হাসান, সাইফুল ইসলাম এবং আশিক রায়। তাদের সবার বাড়ি দিনাজপুর জেলায়।

আটক ট্রাক চালকদের অভিযোগ, হাসপাতালের স্টোর থেকে একজন কর্মচারী অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলো ট্রাকে তোলার নির্দেশ দেন। বিনিময়ে ওই কর্মচারী ট্রাক চালকদের কাছ থেকে তিন হাজার টাকাও নিয়েছেন। কিন্তু ঘটনার পর ওই কর্মচারী তার মোবাইল বন্ধ রেখেছেন। তবে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তার নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

ট্রাকচালক হাবিলের থেকে জব্দ করা বুকিং চালানে দেখা গেছে, রেজাউল নাম উল্লেখ করা এক ব্যক্তি অক্সিজেন সিলিন্ডার রংপুর থেকে ঢাকায় পরিবহনের জন্য ৪০ হাজার টাকায় ট্রাক ভাড়া করেছেন। চালানে ট্রাক চালকের ফোন নম্বর থাকলেও রেজাউলের কোনো নম্বর ছিলো না। শুক্রবার সকালে দিনাজপুর থেকে তিনজন চালক ও হেলপার ট্রাকসহ রংপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। বেলা আড়াইটার দিকে তারা রমেক হাসপাতাল চত্বরে পৌঁছেন।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রশিদ জানান, অক্সিজেন সিলিন্ডার চুরির বা পাচারের চেষ্টার ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনা জানতে ট্রাকচালক ও হেলপারসহ ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে মূল বিষয়টি উদঘাটন হবে বলে আশা করছি।

রমেক হাসপাতালের অক্সিজেন সিলিন্ডার ইনচার্জ সাঈদ বাবু বলেন, শুক্রবার বিকেলে ঢাকা থেকে হাসপাতালে এক ট্রাক অক্সিজেন সিলিন্ডার আসার কথা ছিলো। কিন্তু তার পরিবর্তে দিনাজপুর থেকে আসা খালি ট্রাক তিনটি চালান নিয়ে স্টোরে যোগাযোগ করলে সন্দেহ তৈরি হয়। পরে তাদের কথা-বার্তায় সন্দেহ সৃষ্টি হলে আটক করে পুলিশকে জানানো হয়। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে ষড়যন্ত্র হতে পারে বলে তিনি জানান।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. রেজাউল জানান, পুরো ঘটনাটি প্রতারণার। ট্রাক বুকিংকারী হিসেবে তার নাম থাকার বিষয়টি রহস্যজনক। তবে কে বা কারা এ ঘটনায় জড়িত তা তদন্ত করতে পুলিশকে বলা হয়েছে। 

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –