• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

রসুনে লাভের আশা চিরিরবন্দরের চাষিদের

প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারি ২০২১  

দেশের সর্বাধিক রসুন উৎপাদনকারী জেলা হিসেবে পরিচিত দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে এবারো কৃষকরা ব্যাপকহারে রসুনের আবাদ করেছেন। বিগত বছরগুলোতে চাষিরা নিজেদের উদ্ভাবিত বিনা হালে রসুন চাষ পদ্ধতিতে ব্যাপক সফলতা পাওয়ায় এবং উৎপাদিত রসুনের ভালো দাম পাওয়ায় এ মৌসুমেও তারা রসুন চাষে ঝুঁকেছেন।

সেচ ও সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় এবং অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করায় এবার উপজেলায় রসুনের বাম্পার ফলনের মাধ্যমে চাষিরা লাভবান হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসূমে চিরিরবন্দর উপজেলায় ৪৫৭ হেক্টর জমিতে রসুনের চাষাবাদ হয়েছে। আকস্মিক কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবারে রসুনে ব্যাপক লাভবান হবে চাষিরা।

চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা, বিন্যাকুড়ি, নশরতপুর, ফতেজংপুর, সাইতাড়া, আলোকডিহি তেতুঁলিয়া ও ভিয়েল গ্রামের চাষিরা জানান, ভালো দাম পাওয়ায় এ বছরও তারা ব্যাপকহারে রসুন আবাদ করেছেন। এবার রসুন বীজের অঙ্কুরোদগমও ভালো হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করায় এবং প্রয়োজনীয় সেচ ও সার পাওয়ায় রসুনের চারা এখন দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার রসুনের বাম্পার ফলন হবে এমন আশা করছেন তারা। আর তাই তারা সকাল-সন্ধ্যা দিনমজুর ও স্ত্রী-পুত্রদের সঙ্গে নিয়ে রসুনের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

উপজেলার সাতনালা গ্রামের রসুন চাষি জাকির হোসেন ও আলোকডিহি গ্রামের বেলাল হোসেন জানান, প্রতি বিঘা জমিতে রসুন চাষে প্রায় ৩০ জন শ্রমিক লাগছে তাদের। তাদের শ্রমমূল্য ও খাবার বাবদ খরচ হয় প্রায় ১০ হাজার টাকা। এছাড়া বীজ, রাসায়নিক সার ও সেচ দিতে আরও প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ পড়ছে। ভালো ফলন হলে প্রতি বিঘা জমিতে ২৫ থেকে ৩০ মণ রসুন পাওয়া যাবে। মৌসুমের শুরুতে দাম কিছুটা কম হলেও পরবর্তীতে প্রতিমণ রসুন ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা দরে বিক্রি করা যাবে। এতে বিঘা প্রতি সব খরচ বাদে ৬০ হাজার টাকা লাভ থাকবে বলে আশা করছেন তারা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, চিরিরবন্দরের কৃষকদের কাছে রসুন প্রধান অর্থকরী ফসল হয়ে উঠেছে। এছাড়া, এখন পর্যন্ত আবহাওয়া ভালো আছে। তাই এবার রসুনের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন তিনি।

তিনি আরো বলেন- বর্তমান সরকার কৃষক ও কৃষি বান্ধব সরকার। সরকারের নির্দেশনায় আমরা প্রান্তিক কৃষকদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। এতে করে কৃষকরাও জমি থেকে ভালো ফসল তুলতে পারছে। 

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –