খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তায় জোর দিচ্ছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০২২
খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তায় জোর দিচ্ছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
বিদ্যমান অর্থনৈতিক সংকটময় পরিস্থিতি কাটাতে সরকার খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ জোর দিচ্ছে। খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো এবং জ্বালানির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে সম্ভাব্য সংকট মোকাবিলার কৌশল নেওয়া হচ্ছে। করোনার অভিঘাতের পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সব দেশই খাদ্য নিয়ে সংকটের মুখে পড়েছে। যেসব দেশ খাদ্য রপ্তানি করে সেসব দেশও অভ্যন্তরিণ চাহিদার কারণে রপ্তানি বন্ধ করে দিতে পারে—এমন আশঙ্কাও বিদ্যমান। এমন বাস্তবতায় প্রশাসনকে সরকারের নানামুখী উদ্যোগ বাস্তবায়নে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ করে, সরকারি ব্যয় কমাতে কৃচ্ছ্রসাধন কার্যক্রমের আওতা আরো বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সচিব সভায় উপস্থিত সচিবদের তিনি এ নির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা আলোচনা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খোন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিব সভা সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। এ সভায় সকল সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সচিবদের ঐ সভায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে খাদ্য নিরাপত্তায়। আলোচনার ক্রমে এটিকে শুরুতেই স্থান দেওয়া হয়। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সভায় উত্থাপিত কার্যপত্রে উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে দেশে খাদ্যশস্য মজুতের পরিমাণ ১৬ লাখ মেট্রিক টন। সংকট যাতে না হয় সেজন্য আমদানি এবং উৎপাদন দুটি ক্ষেত্রকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সভায় বলা হয়, আসছে বছর কঠিন সময় পার করতে হবে। চীন ও রাশিয়ায় উৎপাদন কমেছে। এজন্য সংকট আরো বাড়বে। এ কারণে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোনো রকম জমি যেন অনাবাদি না থাকে সে জন্য মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
সর্বোচ্চ সাশ্রয়ী মনোভাব নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ডলারসংকট মোকাবিলায় বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দেন। যেসব কার্যক্রম আগামী অর্থবছরে বাস্তবায়ন সম্ভব সেগুলো চলতি অর্থবছরে বাস্তবায়ন না করার পক্ষে মত দেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারের কৃচ্ছ্রসাধন কার্যক্রম চালু রেখে এর আওতা বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে সভায়। বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া বিলাসসামগ্রীর আমদানি বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সভায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। এ সংক্রান্ত কার্যপত্রে বলা হয়েছে যে, আমদানি নির্ভরতা এবং চাষের জমির স্বল্পতার কারণে উৎপাদন বাড়ার সুযোগ কম। ভারতের উৎপাদন কম হলে সে দেশের রপ্তানি বন্ধের ঝুঁকি রয়েছে। দূরবর্তী দেশ থেকে আমদানি করা হলে তাতে পরিবহন খরচ বেড়ে যাবে। এছাড়া আমদানি পণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের হাতে সীমাবদ্ধ থাকায় একচেটিয়া মূল্য নির্ধারণের ঝুঁকিও আছে। সচিব সভায় দেশের আর্থিক খাত নিয়েও বিশদ আলোচনা হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অর্থনৈতিক প্রভাবে দেশের জনগণের ওপর মূল্যস্ফীতির যে চাপ পড়েছে তা মোকাবিলায় সরকার বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশেষ করে সরকারি ব্যয় কমানোর মাধ্যমে বার্ষিক চাহিদা কমিয়ে সরবরাহ অব্যাহত রাখার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। সভায় বলা হয়, খাদ্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে সুষ্ঠু খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা। দেশে খাদ্যঘাটতি যাতে না হয় সেজন্য চলতি অর্থবছরে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ লাখ টন চাল এবং এবং সাড়ে ৬ লাখ টন গম আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুল্ক বাড়ানোর মাধ্যমে বিলাসী ও অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি নিরুত্সাহিত করা হয়েছে। যেসব দেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক চুক্তি রয়েছে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সভায় জানানো হয়, ২০১৭ সালে ব্রুনাইয়ের সঙ্গে করা এক সমঝোতা স্মারক এ বছর বাস্তবায়ন হয়েছে।
এদিকে সচিব কমিটির বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, গতকালের বৈঠকে কয়েকটি ব্যাংকের ঋণ কেলেংকারি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ নিয়ে ব্যাংকিং বিভাগকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তিনি জানান, তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে শিল্পবিপ্লবের ১০ প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে কীভাবে উৎপাদন বাড়ানো যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। গতকালের বৈঠকে জঙ্গি বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তারা যাতে কারো সহায়তা না পায় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –- দিনাজপুরে তীব্র গরমে বেড়েছে হাতপাখার কদর
- হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি চালু
- গরমে ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে যা করবেন
- মুস্তাফিজের আইপিএল অভিজ্ঞতা কাজে দেবে: শান্ত
- সাংবাদিক হতে গিয়ে যেভাবে নায়িকা হলেন আনুশকা
- শ্রমিক ঠকানোর ভয়াবহ পরিণতি
- স্বস্তির পরশ ছড়িয়ে রংপুরে ঝরল বৃষ্টি
- হাতপাখায় চলে আজিজুলের সংসার
- বিভিন্ন যানবাহনে অবৈধ স্টিকার ব্যবহার
- শ্রম আইন সংশোধনে প্রস্তুত বাংলাদেশ
- পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে বড় বিনিয়োগের পরিকল্পনা সরকারের
- সরাসরি মুসলিমদের নিশানা করে ভোট প্রচারে মোদি
- জলবায়ু সহনশীলতা অ্যাডভোকেসি জোরদার করবে বাংলাদেশ
- সরকারি অফিস চলবে ‘এআই’ প্রযুক্তিতে
- যুক্তরাষ্ট্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রধানমন্ত্রী
- শ্রমিকদের কল্যাণে বিশেষ নজর দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
- শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী
- অবশেষে আজ তাপমাত্রা কমার পূর্বাভাস
- দিনাজপুরে নানা আয়োজনে মে দিবস পালিত
- গরমে পটোল খাওয়ার ৭ উপকারিতা
- শেষ ওভারে মুম্বাইকে হারালো লখনৌ
- শাকিবের বিয়ের ইঙ্গিত দিলেন আরশাদ আদনান
- ইসলামে শ্রমের মর্যাদা, গুরুত্ব ও অধিকার
- শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিতে ঐক্যবদ্ধ ইইউ ও বাংলাদেশ:পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ‘ইভিএমে ত্রুটি প্রমাণ করতে পারলে কমিশনের সবাই পদত্যাগ করবো’
- নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন ১৮৫ দিন: শিক্ষামন্ত্রী
- তাপপ্রবাহ কবে কমবে, জানালো আবহাওয়া অফিস
- জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান
- ইসরাইলগামী জাহাজে হামলার ভিডিও প্রকাশ
- সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড
- সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী
- দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে শিক্ষক-কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট
- ৬ শতাধিক পটল গাছ উপড়ে ফেলল দুর্বৃত্তরা, দিশেহারা কৃষক
- ঈদে পার্বতীপুর- জয়দেবপুর রুটে চলবে ৩টি বিশেষ ট্রেন
- চুমু খেতে চাওয়া সেই পীরজাদা হারুনকে দলে নিলেন নিপুণ!
- বীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- বীরগঞ্জে হবিবর রহমান স্মৃতি রোগ প্রতিরোধ গবেষণা কেন্দ্র উদ্বোধন
- ইস্তিসকার নামাজের সময় ও বিধি-বিধান
- ঈদের দিন বন্ধ থাকবে আন্তঃনগর ট্রেন
- গোর-এ-শহীদ ময়দানে ৬ লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়
- টানা ৬ দিন বন্ধের পর হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি শুরু
- দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের ৫০০ বৃক্ষের চারা বিতরণ-রোপণ
- আইপিএলের মাঝপথে হঠাৎ দেশে ফিরলেন মুস্তাফিজ
- জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান
- দিনাজপুরে হলিল্যান্ড কলেজে ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
- রাইমা সেন কেনো হুমকি!
- কাল থেকে ১৪ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
- দিনাজপুরে অনাবৃষ্টি আর দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে লিচুর মুকুল
- সংগত কারণ ছাড়া প্রকল্পের ধীরগতি মানা হবে না: রেলমন্ত্রী
- দাঁতের যন্ত্রণায় আইসক্রিম খেতে পারছেন না?