দিনাজপুরে স্কোয়াস চাষে আগ্রহ বাড়ছে
প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০২১
দিনাজপুরে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে আমেরিকা ও মধ্য প্রাচ্যের জনপ্রিয় ফসল স্কোয়াশ। স্বল্প সময়ের মধ্যে বাজার জাত করা যায় বলে বেকার শিক্ষক ও অর্ধ শিক্ষিত যুবকরা এই স্কোয়াশ চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন। জেলার চিরিরবন্দর ও নবাবগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে স্কোয়াস চাষের সফলতা পাওয়ায় অনেকেই স্কোয়াস চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছে।
জেলার চিরিরবন্দরে প্রথমবার স্কোয়াস চাষে বাজিমাত করেছেন তরুণ চাষি মাহফুজুর। দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে স্কোয়াশ চাষ করেছেন মাহফুজুর রহমান। বিদেশি সবজি স্কোয়াশ ও ক্যাপসিকাম পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করতে গিয়ে সফলতা পেয়েছেন।
ইন্টারনেট আর ইউটিউবে স্কোয়াস চাষের পদ্ধতি দেখার পর নিজ গ্রামের জমিতে বিদেশি এই সবজির ফলন কেমন হয় তা দেখতে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ শুরু করেছিলেন মাহফুজুর রহমান। ভালো ফলন হওয়ায় বিদেশি সবজি চাষের আগ্রহ বেড়েছে তার। মাত্র তিন মাসেই লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছেন তিনি। স্কোয়াশ বিক্রি করে ভালো লাভ পাওয়ায় আরো বড় পরিসরে স্কোয়াশ চাষ করবেন বলে মনস্থির করেছেন।
মাহফুজুর রহমান দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের জোত সাতনালা গ্রামের পূর্ব মালুপাড়ার মোকছেদ আলীর ছেলে। তার বাবাও একজন সফল কৃষক। তিনি ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের অনার্সের শিক্ষার্থী। কৃষির প্রতি প্রবল ঝোঁক থেকেই ইন্টারনেট আর ইউটিউব দেখে সবজি নিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি।
মাহফুজুর রহমান জানান, দিনাজপুর শহর থেকে বীজ সংগ্রহ করে তার বাবার মাত্র ৬ শতক জমিতে স্কোয়াশ এবং ২ শতক জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করেন। চাষ শুরুর তিন মাসেই তার ক্ষেতে স্কোয়াশের ব্যাপক ফলন আসে। পাশাপাশি রোপিত ক্যাপসিকামের গাছেও ফুল আসে। চাষাবাদে উপযুক্ত প্রচুর জমি আছে এ অঞ্চলে।
তরুণ এই উদ্যোক্তা জানান, পরীক্ষামূলকভাবে স্কোয়াশ চাষে তার আশাতীত ফলন এসেছে। এরমধ্যে স্থানীয় পাইকারি বাজারে ১৫ থেকে ১৬ টাকা দরে প্রতি স্কোয়াশ বিক্রি করেছেন। জমি থেকে সপ্তাহে দুই-তিনবার করে স্কোয়াশ তোলা যায়। প্রতিবারই কমপক্ষে ১০০টি করে স্কোয়াশ তোলা যায়। এ জমিতে চাষের শুরু থেকে ফলন আসা পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তার। এ পর্যন্ত তিনি ১০ হাজার টাকার স্কোয়াশ বিক্রি করেছেন।
মাহফুজুর রহমান জানান, অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর স্কোয়াশ দেখতে অনেকটা শসা ও মিষ্টি কুমড়া আকৃতির। উচ্চ ফলনশীল জাতের এ সবজি ভাজি, মাছ ও মাংসের তরকারিতে রান্নার উপযোগী। এছাড়া এটি সালাদ হিসেবেও খাওয়া যায়। স্কোয়াশ শীতকালীন সবজি হলেও এখন গাছে ফুল আসছে।
একই গ্রামের তরুণ চাষি ইকবাল হোসেন জানান, আমিও ইউটিউবে স্কোয়াস চাষের পদ্ধতি দেখেছি আর বাস্তবে দেখলাম মাহফুজুর ভাইয়ের স্কোয়াস চাষ। আমার ধারণা অনেকটা পরিষ্কার হয়ে গেছে। স্বল্প পুঁজি দিয়েই স্কোয়াস চাষে সফলতা পাওয়া যাবে। তাই চাকরির পেছনে না ছুটে বেকারদের স্কোয়াস চাষ শুরু করা দরকার।
চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, স্কোয়াশ সবজি জাতীয় ফসল, যা কুমড়া ও ধুন্দল জাতীয় ফসলের ক্রস। দেশের প্রচলিত কোনো সবজির এমন উৎপাদন ক্ষমতা নেই। স্কোয়াশ চাষ সম্প্রসারণ করা গেলে কৃষি অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করি। পাশাপাশি অনেক তরুণ চাষিরা এখন ইন্টারনেট ও ইউটিউব ব্যবহার করে আধুনিক কৃষির সঙ্গে জড়িত হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের নির্দেশনায় আমরা বিনামূল্যে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছি। অল্প খরচে কিভাবে বেশি ফলন ঘরে তোলা যায় সে ব্যাপারেও আমরা কৃষকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদান করে চলেছি।
– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –- খেলতে গিয়ে চোরাবালিতে ডুবে যায় কিশোর, অতঃপর...
- জলঢাকা পৌরসভায় উপ-নির্বাচনে মেয়র হলেন নোভা
- নাশকতা মামলায় কুড়িগ্রামে যুবদলের সভাপতিসহ কারাগারে ৬
- মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান শিরোপা পিএসজির
- প্রথম স্ত্রীর হাতে কেন চড় খেয়েছিলেন আমির?
- হজ পালনে অনুমতি বাধ্যতামূলক করল সৌদি
- আবারো কমলো সোনার দাম
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার কবে বন্ধ হবে, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
- ঈদুল আজহায় পশু আমদানির পরিকল্পনা নেই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
- রোগীর প্রতি চিকিৎসকের অবহেলা সহ্য করবো না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- রাতভর ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত
- আইনগত সহায়তা দরিদ্র-অসহায় নাগরিকের অধিকার: আইনমন্ত্রী
- সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা প্রয়োজন করা হবে: ইসি আলমগীর
- একদিনে হিট স্ট্রোকে ১৭ জনের মৃত্যুর রেকর্ড
- দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
- দিনাজপুরে অনাবৃষ্টি আর দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে লিচুর মুকুল
- আ.লীগের উপদেষ্টা সদস্য প্রণব কুমার বড়ুয়া মারা গেছেন
- এমএলএসে মেসির নতুন ইতিহাস
- রাতারাতি ভাইরাল পিয়া জান্নাতুল, কী বলছেন তিনি
- টানা ৪ মাসে হাতে লিখলেন কোরআন
- তীব্র দাবদাহে নজর কেড়েছে ‘এসি হেলমেট’
- থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান
- তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- অদক্ষ শ্রমিক বিদেশে পাঠানো হবে না: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
- হজ ফ্লাইট শুরু ৯ মে: ধর্মমন্ত্রী
- ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান
- একটা জাল ভোট পড়লেই কেন্দ্র বন্ধ: ইসি আহসান হাবিব
- তরুণদের উদ্ভাবনী জ্ঞান কাজে লাগাতে হবে: স্পিকার
- তীব্র দাবদাহে বেড়েছে লবণ উৎপাদন
- শহিদ শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন আজ
- সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী
- দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে শিক্ষক-কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট
- ৬ শতাধিক পটল গাছ উপড়ে ফেলল দুর্বৃত্তরা, দিশেহারা কৃষক
- ঈদে পার্বতীপুর- জয়দেবপুর রুটে চলবে ৩টি বিশেষ ট্রেন
- চুমু খেতে চাওয়া সেই পীরজাদা হারুনকে দলে নিলেন নিপুণ!
- বীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এডিবির আরো সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
- বীরগঞ্জে হবিবর রহমান স্মৃতি রোগ প্রতিরোধ গবেষণা কেন্দ্র উদ্বোধন
- ইস্তিসকার নামাজের সময় ও বিধি-বিধান
- ঈদের দিন বন্ধ থাকবে আন্তঃনগর ট্রেন
- রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সহিংসতা বাড়ছে
- বুয়েটে অপরাজনীতি হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী
- ‘ডানপন্থী রাজনৈতিক দল নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে না’
- গোর-এ-শহীদ ময়দানে ৬ লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়
- পরীক্ষামূলক জিরা চাষে কৃষকের বাজিমাত
- টানা ৬ দিন বন্ধের পর হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি শুরু
- দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের ৫০০ বৃক্ষের চারা বিতরণ-রোপণ
- আইপিএলের মাঝপথে হঠাৎ দেশে ফিরলেন মুস্তাফিজ
- দিনাজপুরে হলিল্যান্ড কলেজে ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
- রাইমা সেন কেনো হুমকি!