অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির উজ্জ্বল নক্ষত্র আইভি রহমান
প্রকাশিত: ৭ জুলাই ২০২২
ড. মুহম্মদ মনিরুল হক
বাংলাদেশের প্রগতিশীল রাজনীতির ইতিহাসে আইভি রহমান ও জিল্লুর রহমান ছিলেন এমন একটি ঐতিহাসিক জুটি বা পরিবার, যে পরিবারের দুজনই সম্পৃক্ত ছিলেন ১৯৬২-র শিক্ষা আন্দোলন থেকে শুরু, বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রাম ও স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রগতিশীল সব আন্দোলন-সংগ্রামে। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এই পরিবার গঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা। বঙ্গবন্ধু পরিবারের সঙ্গেও পারিবারিকভাবে সম্পর্কিত ছিলেন আইভি। তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানার খালাশাশুড়ি এবং তাঁর বড় বোন শামসুন্নাহার সিদ্দিক শেখ রেহানার শাশুড়ি।
আইভি রহমান ও জিল্লুর রহমানের দুই মেয়ে, তানিয়া বখ্ত ও তনিমা রহমান এবং এক ছেলে নাজমুল হাসান পাপন।
১৯৫৮ সালের ২৭ জুন মো. জিল্লুর রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন আইভি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন তাঁদের বিবাহের প্রধান সাক্ষী। তাঁরাও আজীবন বঙ্গবন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞ থেকেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করেছেন। বঙ্গবন্ধুহীন বাংলাদেশে শত প্রতিকূলতাকে ভেদ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার পাশে থেকেছেন। একজন মা, একজন সমাজকর্মী, একজন স্ত্রী-সহযোদ্ধা আইভি রহমান নিজে রাজনীতি করেছেন, পরিবার ও সমাজের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং জিল্লুর রহমানের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে কখনো প্রত্যক্ষ, কখনো ছায়াসঙ্গী হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন।
১৯৪৪ সালের ৭ জুলাই ভৈরবের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে আইভি রহমানের জন্ম। তিনি ছিলেন আট বোন ও চার ভাইয়ের মধ্যে পঞ্চম। তাঁর পিতা জালালউদ্দিন আহমেদ ছিলেন ঢাকা কলেজের স্বনামধন্য অধ্যক্ষ। পারিবারিক সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের কারণে শৈশবেই আইভি রহমান সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হন। রাজনীতিতে অধিক সক্রিয় হন বিবাহের পর। ১৯৬৯ সালে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠায় তিনি রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তিনি মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে তিনি ২০০৩ সাল পর্যন্ত নেতৃত্ব দেন। ১৯৭৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত আইভি রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি রাইফেল ও ফার্স্ট এইড প্রশিক্ষণ নিয়ে অন্য নারীদের প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল ও উদ্যম সৃষ্টির জন্য জয় বাংলা বেতারেও তিনি কাজ করেন।
আইভি রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ ডিগ্রিধারী। তিনি লেখালেখি করেছেন, নারী জাগরণ ও প্রগতিশীল সমাজ নির্মাণে ভূমিকা রেখেছেন। বাংলাদেশ মহিলা সমিতি পুনর্গঠনে রয়েছে তাঁর অগ্রণী ভূমিকা। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত তিনি জাতীয় মহিলা সংস্থা ও জাতীয় মহিলা সমিতির সভাপতি ছিলেন। জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
আইভি রহমান ছিলেন শান্তিপ্রিয় মানুষ। হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্যকে তিনি মনে-প্রাণ ঘৃণা করতেন। অকালে অন্যায়ভাবে ঘাতকরা তাঁর তাজা প্রাণ কেড়ে নিলেও নিতে পারেনি তাঁর আদর্শ ও কর্ম। মৃত্যুর কিছুদিন আগেও তিনি গিয়েছিলেন জন্মভূমি ভৈরবে। বন্যাদুর্গত মানুষকে ত্রাণসামগ্রী দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধ ও সমাজসেবায় গৌরবোজ্জ্বল অবদানের জন্য আইভি রহমানকে (মরণোত্তর) স্বাধীনতা দিবস পুরস্কারে ভূষিত করা হয় ২০০৯ সালে। তাঁর জন্মস্থান ভৈরবের চণ্ডিবড় গ্রামে নির্মাণ করা হয়েছে আইভি রহমান স্মৃতিস্তম্ভ। তাঁর নামে নামকরণ হয়েছে জিল্লুর রহমান মহিলা কলেজের ছাত্রীনিবাস এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের একটি তোরণ। আইভি রহমান ও জিল্লুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ভৈরবের বাড়িটির নামও রাখা হয় আইভি ভবন। এসব স্মৃতি দেখে ভৈরববাসীর মনে পড়ে জিল্লুর রহমান ও আইভি রহমান ছিলেন তাঁদের কত আপন, কত প্রয়োজনীয় ও গর্বের স্বজন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য প্রকাশ্য সমাবেশে নারকীয় গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমান গুরুতর আহত হন এবং ২৪ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন। বাংলার মানুষ আজও মেনে নিতে পারেনি তাঁর অকাল প্রয়াণ। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং পরিশ্রমী, সংগ্রামী, প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির উজ্জ্বল নক্ষত্র মহীয়সী আইভি রহমানের জন্মদিনে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।
লেখক : শিক্ষা ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ
[email protected]
- দিনাজপুরে তীব্র গরমে বেড়েছে হাতপাখার কদর
- হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি চালু
- গরমে ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে যা করবেন
- মুস্তাফিজের আইপিএল অভিজ্ঞতা কাজে দেবে: শান্ত
- সাংবাদিক হতে গিয়ে যেভাবে নায়িকা হলেন আনুশকা
- শ্রমিক ঠকানোর ভয়াবহ পরিণতি
- স্বস্তির পরশ ছড়িয়ে রংপুরে ঝরল বৃষ্টি
- হাতপাখায় চলে আজিজুলের সংসার
- বিভিন্ন যানবাহনে অবৈধ স্টিকার ব্যবহার
- শ্রম আইন সংশোধনে প্রস্তুত বাংলাদেশ
- পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে বড় বিনিয়োগের পরিকল্পনা সরকারের
- সরাসরি মুসলিমদের নিশানা করে ভোট প্রচারে মোদি
- জলবায়ু সহনশীলতা অ্যাডভোকেসি জোরদার করবে বাংলাদেশ
- সরকারি অফিস চলবে ‘এআই’ প্রযুক্তিতে
- যুক্তরাষ্ট্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রধানমন্ত্রী
- শ্রমিকদের কল্যাণে বিশেষ নজর দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
- শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী
- অবশেষে আজ তাপমাত্রা কমার পূর্বাভাস
- দিনাজপুরে নানা আয়োজনে মে দিবস পালিত
- গরমে পটোল খাওয়ার ৭ উপকারিতা
- শেষ ওভারে মুম্বাইকে হারালো লখনৌ
- শাকিবের বিয়ের ইঙ্গিত দিলেন আরশাদ আদনান
- ইসলামে শ্রমের মর্যাদা, গুরুত্ব ও অধিকার
- শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিতে ঐক্যবদ্ধ ইইউ ও বাংলাদেশ:পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ‘ইভিএমে ত্রুটি প্রমাণ করতে পারলে কমিশনের সবাই পদত্যাগ করবো’
- নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন ১৮৫ দিন: শিক্ষামন্ত্রী
- তাপপ্রবাহ কবে কমবে, জানালো আবহাওয়া অফিস
- জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান
- ইসরাইলগামী জাহাজে হামলার ভিডিও প্রকাশ
- সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড
- সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী
- দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে শিক্ষক-কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট
- ৬ শতাধিক পটল গাছ উপড়ে ফেলল দুর্বৃত্তরা, দিশেহারা কৃষক
- ঈদে পার্বতীপুর- জয়দেবপুর রুটে চলবে ৩টি বিশেষ ট্রেন
- চুমু খেতে চাওয়া সেই পীরজাদা হারুনকে দলে নিলেন নিপুণ!
- বীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- বীরগঞ্জে হবিবর রহমান স্মৃতি রোগ প্রতিরোধ গবেষণা কেন্দ্র উদ্বোধন
- ইস্তিসকার নামাজের সময় ও বিধি-বিধান
- ঈদের দিন বন্ধ থাকবে আন্তঃনগর ট্রেন
- গোর-এ-শহীদ ময়দানে ৬ লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়
- টানা ৬ দিন বন্ধের পর হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি শুরু
- দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের ৫০০ বৃক্ষের চারা বিতরণ-রোপণ
- আইপিএলের মাঝপথে হঠাৎ দেশে ফিরলেন মুস্তাফিজ
- জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান
- দিনাজপুরে হলিল্যান্ড কলেজে ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
- রাইমা সেন কেনো হুমকি!
- কাল থেকে ১৪ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
- দিনাজপুরে অনাবৃষ্টি আর দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে লিচুর মুকুল
- সংগত কারণ ছাড়া প্রকল্পের ধীরগতি মানা হবে না: রেলমন্ত্রী
- দাঁতের যন্ত্রণায় আইসক্রিম খেতে পারছেন না?