জিলহজ মাসের ১৩ দিনের বিশেষ আমল
প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০২১
আরবি ১২ মাসের সর্বশেষ মাস জিলহজ। এ মাসের প্রথম ১৩ দিনের বিশেষ আমল কোরআন-হাদিসে বর্ণিত আছে। যার সংক্ষিপ্ত বিবরণ এখানে উল্লেখ করা হলো—
হজ করা : জিলহজ মাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল হজ। হজ ইসলামের মৌলিক পাঁচ স্তম্ভের একটি। এর মূল কাজগুলো ৮ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজের মধ্যে সম্পন্ন করতে হয়। হজ সামর্থ্যবানদের ওপর জীবনে একবার ফরজ হয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে ওই গৃহের হজ করা তার জন্য অবশ্যকর্তব্য। আর যে (এই নির্দেশ পালন করতে) অস্বীকার করবে তার জেনে রাখা উচিত যে আল্লাহ দুনিয়াবাসীদের প্রতি সামান্যও মুখাপেক্ষী নন।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ৯৭)
যেহেতু হজে যেতে হলে আগে নিবন্ধন করতে হয়। নিবন্ধনের পর সিরিয়াল পেতে পেতে দুই-তিন বছর সময় লেগে যায়। তাই যে বছর হজে যাওয়ার দৃঢ়সংকল্প আছে—তার দুই-তিন বছর আগেই নিবন্ধন করতে হবে। সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
কোরবানি করা : এ মাসের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আমল কোরবানি, যা ১০, ১১ বা ১২ তারিখে সম্পন্ন করতে হয়। এবং তা নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিকের ওপর ওয়াজিব—যিনি সাবালক ও সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী। মহানবী (সা.) সরাসরি কোরবানির ব্যাপারে নির্দেশিত হয়েছেন। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি তোমার রবের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় করো এবং কোরবানি করো।’ (সুরা কাউসার, আয়াত : ২)
রাসুলে করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কোরবানি করে না, সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’ (মুসতাদরাকে হাকেম, হাদিস : ৭৫৬৬)
আর যাদের ওপর ওয়াজিব হয়নি, তারাও চাইলে সুন্নত হিসেবে কোরবানি করতে পারবে।
বেশি বেশি নেক আমল করা : এ মাসের প্রথম ১০ দিনের যেকোনো নেক আমল আল্লাহর অনেক প্রিয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহর কাছে জিলহজের ১০ দিনের নেক আমলের চেয়ে অধিক প্রিয় অন্য কোনো দিনের আমল নেই।’ (বুখারি, হাদিস : ৯৬৯)
তাই প্রতিটি মুহূর্তে কোনো না কোনো নেক আমল করতে থাকা উচিত। যে কাজই করি তা যেন হয় ইহকালীন বা পরকালীন কোনো কল্যাণে। পাশাপাশি গুনাহ থেকে বিরত থাকাও বিশেষভাবে জরুরি।
প্রথম ৯ দিন রোজা রাখা : জিলহজের প্রথম ৯ দিন রোজা রাখা মুস্তাহাব। এর প্রতিটি রোজা এক বছরের রোজার সমতুল্য। এবং প্রথম ১০ রাতে ইবাদত করা উত্তম। এর প্রতিটি রাত লাইলাতুল কদর সমতুল্য। নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘জিলহজের ১০ দিনের ইবাদত আল্লাহর নিকট অন্য দিনের ইবাদতের তুলনায় বেশি প্রিয়। প্রতিটি দিনের রোজা এক বছরের রোজার মতো। আর প্রতি রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের ইবাদতের মতো।’ (তিরমিজি : ১/১৫৮)
পুরো ৯ দিন রোজা রাখা সম্ভব না হলে যত দিন রোজা রাখা সম্ভব তত দিন রাখা যেতে পারে। আর পুরো ১০ রাতে ইবাদত করা সম্ভব না হলে যত রাতে ইবাদত করা সম্ভব তত রাতে ইবাদত করা যেতে পারে। এতেও সাওয়াব পাওয়া যাবে।
বিশেষত আরাফার দিন রোজা রাখা : আরাফার দিন তথা ৯ জিলহজ রোজা রাখলে দুই বছরের (সগিরা) গুনাহ মাফ হয়ে যায়। তাই এ দিন রোজা রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করা উচিত। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আরাফার দিনের রোজার বিষয়ে আমি আল্লাহর কাছে প্রত্যাশা রাখি যে তিনি আগের এক বছরের এবং পরের এক বছরের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (মুসলিম, হাদিস : ১১৬২)
অতএব যে এলাকায় যখন জিলহজের ৯ তারিখ হবে সে এলাকায় তখন রোজা রাখলে এ ফজিলত লাভ করবে, ইনশাআল্লাহ।
নখ-চুল ইত্যাদি না কাটা : যারা কোরবানি করার ইচ্ছা করবে তাদের জন্য জিলহজ মাসের প্রথম থেকে কোরবানি করা পর্যন্ত নখ-চুল ইত্যাদি কাটা থেকে বিরত থাকা মুস্তাহাব। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন জিলহজের প্রথম দশক শুরু হবে তখন তোমাদের মধ্যে যে কোরবানি করবে সে যেন তার চুল ও নখ না কাটে।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৯৭৭)
তবে কোরবানি করতে অক্ষম ব্যক্তি ঈদের পর নখ-চুল ইত্যাদি কাটলে তার পূর্ণ একটি কোরবানির সওয়াবের কথা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৭৮৯)
এমনকি এ সময় বাচ্চাদের নখ-চুল কাটা থেকে বিরত থাকাও ভালো। অতএব জিলহজ আগমনের আগেই নখ-চুল ইত্যাদি কেটে পরিপাটি হয়ে থাকা বাঞ্ছনীয়।
তাকবিরে তাশরিক পড়া : ৯ জিলহজ ফজর থেকে ১৩ জিলহজ আসর পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্ত নামাজ। এর প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর একবার তাকবিরে তাশরিক পড়া ওয়াজিব। চাই জামাতে নামাজ পড়া হোক বা একাকি, পুরুষ হোক বা নারী, মুকিম হোক বা মুসাফির। তাকবিরে তাশরিক পুরুষের জন্য জোরে পড়াও ওয়াজিব। তাকবিরে তাশরিক হলো, ‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ।’
ঈদুল আজহার নামাজ পড়া : ঈদুল আজহার নামাজ প্রত্যেক সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন পুরুষের ওপর ওয়াজিব। সূর্যোদয়ের ২০-৩০ মিনিট পর থেকে দ্বিপ্রহরের পূর্ব পর্যন্ত ঈদের নামাজ পড়া যায়। নবীজি (সা.) ঈদুল আজহার নামাজ সাধারণত সূর্যোদয়ের আধাঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে আদায় করতেন। ঈদুল আজহার নামাজ একটু তাড়াতাড়ি পড়াই উত্তম। তবে প্রয়োজনে কিছুটা বিলম্ব করাও নিষিদ্ধ নয়।
– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –- রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি চায় বাংলাদেশ-গাম্বিয়া
- সাত জেলায় দুপুরের মধ্যেই ঝড়-বৃষ্টির আভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা
- ‘নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে’
- বাংলাদেশ-ভারত আজ একই লক্ষ্যে এগোচ্ছে: সেলিম মাহমুদ
- ওরাল ক্যান্সার সম্পর্কে নাগরিকদের সচেতন হতে হব- প্রতিমন্ত্রী রিমি
- তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে মৃত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর
- জানা গেল এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ
- সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করছেন: প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান
- তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে মৃত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর
- ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
- রাণীশংকৈলে ভুট্টাক্ষেত থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সুন্দরগঞ্জে ২৭ জনের মনোনয়ন দাখিল
- সর্বজনীন পেনশন স্কিম মেলা উপলক্ষে রংপুরে সংবাদ সম্মেলন
- বিভিন্ন দেশে নিষেধাজ্ঞার মুখে ভারতীয় খাদ্যপণ্য
- যে কারণে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ
- ৫৩ বছর বয়সে জীবনসঙ্গী খুঁজছেন মনীষা
- ইসলামের দৃষ্টিতে শ্রমিক মালিকের পরিবারভুক্ত
- `নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে`
- সরকারি গুদামে হয়রানি করা হলে কঠোর ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী
- সংসদ অধিবেশন চলবে ৯ মে পর্যন্ত
- ভারত-বাংলাদেশের আন্তঃসীমান্ত নদীর বন্যার তথ্য আদান-প্রদান শুরু
- দিনাজপুরে তীব্র গরমে বেড়েছে হাতপাখার কদর
- হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি চালু
- গরমে ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে যা করবেন
- মুস্তাফিজের আইপিএল অভিজ্ঞতা কাজে দেবে: শান্ত
- সাংবাদিক হতে গিয়ে যেভাবে নায়িকা হলেন আনুশকা
- শ্রমিক ঠকানোর ভয়াবহ পরিণতি
- স্বস্তির পরশ ছড়িয়ে রংপুরে ঝরল বৃষ্টি
- হাতপাখায় চলে আজিজুলের সংসার
- বিভিন্ন যানবাহনে অবৈধ স্টিকার ব্যবহার
- সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী
- দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে শিক্ষক-কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট
- ৬ শতাধিক পটল গাছ উপড়ে ফেলল দুর্বৃত্তরা, দিশেহারা কৃষক
- বীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- বীরগঞ্জে হবিবর রহমান স্মৃতি রোগ প্রতিরোধ গবেষণা কেন্দ্র উদ্বোধন
- ইস্তিসকার নামাজের সময় ও বিধি-বিধান
- ঈদের দিন বন্ধ থাকবে আন্তঃনগর ট্রেন
- গোর-এ-শহীদ ময়দানে ৬ লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়
- টানা ৬ দিন বন্ধের পর হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি শুরু
- দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের ৫০০ বৃক্ষের চারা বিতরণ-রোপণ
- জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান
- দিনাজপুরে হলিল্যান্ড কলেজে ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
- রাইমা সেন কেনো হুমকি!
- দিনাজপুরে অনাবৃষ্টি আর দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে লিচুর মুকুল
- দাঁতের যন্ত্রণায় আইসক্রিম খেতে পারছেন না?
- রূপপুরে নতুন বিদ্যুৎ লাইন চালু মঙ্গলবার
- ঘোড়াঘাটে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালিত
- দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, পথেই ঝরল ২ প্রাণ
- রংপুরে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৪ নির্দেশনা