• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জমে উঠেছে বিরামপুরের সবজির হাট

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০২৩  

দিনাজপুরের বিরামপুরের হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতকালীন সব ধরনের সবজি। পলি অঞ্চল হওয়ায় এই এলাকার কৃষকেরা অন্যান্য আবাদের পাশাপাশি চাষ করেন শীতকালীন সবজি। পাইকারি বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতকালীন আগাম সবজি। যার কারণে কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। বাজারে কম দামে সবজি কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা-বিক্রেতারা। প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার সবজি বেচাকেনা হয়ে থাকে এই বাজারে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও এসব সবজি যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকালে বিরামপুর শহরের পাইকারি সবজি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ভোর থেকেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত টাটকা শাক-সবজি নিয়ে আসছেন এই বাজারে। যোগাযোগব্যবস্থা ভাল হওয়ায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকাররা আসছেন এই বাজারে। এ ছাড়াও, শীতকালীন আগাম সবজি কৃষকদের কাছে থেকে সরাসরি কিনতে পারছেন পাইকাররা। গেলো সপ্তাহ আগেও সবজির দাম ছিল দ্বিগুণ।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি বেগুন ৮০ থেকে ৩০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, ফুলকপি প্রতি পিস ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, মুলা ৪০ থেকে ২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ থেকে ৩০, শিম ৬০ থেকে ৩০ টাকা, আলু ৬৫ থেকে ৪৫ টাকা, পটল ৬০ থেকে ৩০, কাঁচামরিচ ২০০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ১০০ থেকে ৪০ এবং ও ৬০ টাকার শসা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে। কম দামে সবজি কিনতে পেরে খুশি সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতারা।

স্থানীয় সবজি ব্যবসায়ী মতিয়ার রহমান বলেন, বাজারে সব ধরনের শীতকালীন সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু অবরোধের কারণে কাঁচা পণ্যগুলো মোকামে সময়মত যেতে পারছে না। যার কারণে এসব পণ্যের দাম এখন অর্ধেকে নেমে এসেছে। এতে স্বস্তি ফিরে এসেছে সাধারণ স্থানীয় ক্রেতাদের মাঝে। প্রতিদিন এ বাজারে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার সবজি বেচাকেনা হয়।

কৃষক মজিবর রহমান বলেন, এবার শীতের চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনেক ভাল আছে। যার কারণে সব সবজির চাষাবাদ ভাল। কোনও ফসল নষ্ট হয়নি। আমি শীতকালীন সব সবজির চাষ করেছি। আবার বাজারজাতও করছি, দামও মোটামুটি পাচ্ছি। 

বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, বিরামপুর উপজেলার মাটি সবজি চাষের জন্য উপযোগী। এই অঞ্চলে সব ধরনের রবি শস্য আবাদ হয়ে থাকে। বিরামপুর বাজারে শীতকালীন সবজি পর্যাপ্ত আমদানি শুরু হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা সবজি কিনতে আসছেন এই বাজারে। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার সবজি বেচা-বিক্রি হয় বাজারে, মাসে প্রায় ৪ কোটি টাকারও বেশি সবজির লেনদেন হয়ে থাকে। স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়েও দেশের বিভিন্ন স্থানের চাহিদা পূরণ হচ্ছে সবজির। 

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –