• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

নার্সারি করে সফল সুন্দরগঞ্জের হাবিজার

প্রকাশিত: ৩ মার্চ ২০২৪  

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন বিশ্বাস হলদিয়া গ্রামের মো. হাবিজার রহমান মাত্র পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে নার্সারি করার স্বপ্ন দেখেন।

হাবিজার রহমান বলেন, আমি প্রায় ৪০ বছর থেকে বিভিন্ন  হাটবাজারে রাস্তাঘাট  স্কুল মাদরাসা ও বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে গাছ বিক্রি করতাম। তখন থেকে আমার স্বপ্ন ছিল নার্সারি করার জন্য। এক সময় বিভিন্ন নার্সারি থেকে হরেকরকম গাছগাছালি ও ওষুধ জাতীয় গাছ হাটবাজারে বিক্রি করতাম। ধীরে ধীরে ছেলেমেয়েরা বড় হওয়া শুরু করে। আমার কষ্ট দেখে তখন দ্বিতীয় ছেলে শাহাদাত হোসেন (রাজিব) আমার ব্যবসায় সাহায্য করে। যখন ছেলে সাহায্য করা শুরু করে তখন আমি নার্সারি করার স্বপ্ন দেখি।

পরিবার ও ছেলে মেয়েদের সহযোগিতা পেয়ে বাড়ির সামনে আঙ্গিনায় পাঁচশতক জমিতে কিছু গাছ রোপণ করি। পাঁচশতক জমিতে গাছের চারা রোপণ করার বিভিন্ন পদ্ধতি আয়ত্ত করা শুরু করেন হাবিজার রহমান। খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে নার্সারিতে লাভের মুখ দেখতে পান হাবিজার রহমান। এরপর ধীরে ধীরে নার্সারিতে গাছের প্রজাতির সংখ্যা বাড়াতে থাকে। সময়ের সাথে সাথে মান ভালো হওয়ায় দূরদূরান্ত থেকে গাছ কিনতে আসেন অনেকে।

কেউ কেউ গাছের বাগান ঘুরে দেখেন। কেউ গাছ কিনে নেন। শখের নার্সারি এখন বাণ্যিজ্যিকভাবে শুরু করেন হাবিজার রহমান। এই নার্সারিতে আয়ের উৎস খুঁজে পান হাবিজার রহমান। এরপর আর তাকে পেছনে তাকাতে হয়নি। কয়েক বছরে নির্বিঘ্নে গাছের চারা রোপণ ও বিক্রি করে লাভবান হতে থাকেন তিনি।

এখন অনেকেই তার নার্সারিতে গাছ কিনতে আসেন। আছে ওষুধী, বনজ ও ফলজ গাছসহ প্রায় হাজার প্রজাতির গাছ। এবার গত বছরের চেয়েও লাভবান হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে পথচলা শুরু করেন। অল্প দিনেই লাভের মুখ দেখতে পান।

এতে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে বেকার যুবকদের। ছেলে-মেয়ে নিয়ে নার্সারির উপর নির্ভর করেই জীবপনযাপন করছেন হাফিজার রহমান। তাই হাবিজার রহমান শখ করে নার্সারি নাম রেখেছেন ভাই বোন নার্সারি।

তিনি জানান, ৫ শতক জমি থেকে এখন বর্তমানে ৭ বিঘা জমিতে নার্সারি রয়েছে। এ বছর পুরা জমি মিলে বিভিন্ন বনজ, ফলদ, ওষুধি ও ফুলের চারা রোপণ করেছেন।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. মিজানুর রহমান বলেন, বিভিন্ন এলাকায় যারা নার্সারি করেছেন, তাদের নার্সারি নিয়মিত পরিদর্শন করা হচ্ছে। এছাড়াও নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হয়। বৃক্ষমেলায় তাদের চারা গাছ বিক্রি করারও সুযোগ রয়েছে। পোঁকামাকড়ের আক্রমণ থেকে মুক্তির জন্য পরামর্শ দিচ্ছি।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –