• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

পরিবহন নেতাকে গুলির নেপথ্যে তিন কারণ

প্রকাশিত: ১ মার্চ ২০২৪  

 
রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আফতাবুজ্জামান লিপনের ওপর গুলিবর্ষণের পেছনে তিনটি কারণের কথা জানিয়েছে পুলিশ। এগুলো হলো– বিভিন্ন পরিবহন থেকে আদায় করা চাঁদার ভাগবাটোয়ারা, চাঁদা আদায়ে জড়িত এক কর্মীকে বদলি ও দু’জনকে বরখাস্তের ঘটনা। 

এসব ঘটনার ক্ষোভ থেকে হত্যার উদ্দেশ্যে লিপনের ওপর গুলি চালানো হয়। গ্রেপ্তার চারজনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে নগরীর কামারপাড়ায় অবস্থিত ঢাকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সৈয়দ আফতাবুজ্জামান লিপনের ব্যক্তিগত গাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেলেও গাড়ির ক্ষতি হয়। পরদিন তিনি মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। পুলিশ ঘটনাটির তদন্তে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নেয়। পাশাপাশি নানাদিক বিশ্লেষণ করে চারজনকে গ্রেপ্তার করে।

এরা হলো– নগরীর সাতগাড়া মিস্ত্রিপাড়ার কাওছার আলী (৪৩), ধাপ চেকপোস্ট হাজি কলোনির আসাদুল ইসলাম সুমন (৩৮), ধাপ শ্যামলী লেনের আহসান হাবীব মিলন (৩৫) ও ধাপ শিমুলবাগের হান্নান মিয়া বাবু (৩০)।

আরএমপির উপকমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রংপুর নগরীর ধাপ এলাকায় স্বপ্ন শপিংমলের সামনে একটি মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড রয়েছে। সেখান থেকে মোটর মালিক সমিতির নামে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়ে মালিক সমিতির কর্মী কাওছার আলীকে বাস টার্মিনাল থেকে মেডিকেল মোড়ে বদলি করা হয়। এ ছাড়া আসাদুল ইসলাম সুমন ও আহসান হাবীব মিলনকে বরখাস্ত করা হয়। এ ঘটনার জন্য তারা সন্দেহ করেন আফতাবুজ্জামান লিপনকে। চাঁদাবাজি বজায় রাখা ও ভাগবাটোয়ারায় আধিপত্য ধরে রাখার উদ্দেশ্যে তারা লিপনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সে অনুযায়ী তাঁর চলাফেরার ওপর নজরদারি শুরু করে।

১৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে নিজ গাড়িতে ছিলেন আফতাবুজ্জামান লিপন। বিষয়টি আসাদুল ইসলাম সুমনের কাছ থেকে জানতে পেরে সেখানে এসে গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে কাওছার আলী। পরে সে হান্নান বিন বাবুর মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, এই তিনজনই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার কথা রিমান্ডে স্বীকার করেছে।

উপকমিশনার আবু মারুফ হোসেনের ভাষ্য, মোটর মালিক ও শ্রমিকদের দুটি পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যেই লিপনের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়। এখনও তারা রিভলবারটি উদ্ধার করতে পারেননি। এ জন্য গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এ ছাড়া এই ঘটনায় জড়িত অন্যদের শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –